এবার রানীর দীঘি ভরাট ঠেকালো সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন দুই দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রানীর দীঘি’র ভরাটে ফেলা মাটি উঠিয়ে নিতে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন সেবকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল পাঠানটুলীর নজির ভাণ্ডার (র.) লেনে পুকুর ভরাট ঠেকানোর পর আজ রোববার বিকেলে খবর পেয়ে রানীর দীঘি পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শনে গিয়ে তিনি দেখেন দীঘির দুই পাড় ভবনের নির্মাণ কাজের মাটি-বালি, সুড়কি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। অন্যান্য পাড়ের বেশকিছু অংশও দখলে চলে গেছে। পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব দেখে প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন অতীতেও কিছু অসাধু মানুষ বাণিজ্যিক লাভের আশায় ঐতিহ্যবাহী এই রানীর দীঘি ভরাট করতে চাইছিলো। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কারণে তা পারেনি। শহরে ক্রমে পুকুর, জলাশয়, জলাধার কমছে। অথচ অগ্নিকাণ্ড থেকে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষায় পুকুর জলাশয় প্রয়োজন। পুকুর, দীঘি থাকলে এলাকার রান্না-বান্না ও ব্যবহারের পানির সংকট দূর হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার আশংকা কম থাকে। কারণ বৃষ্টির পানি পুকুর,দীঘি ধারণ করে। নগরীর ঐতিহ্যবাহী রানীর দীঘির সৌন্দর্য্য চোখে পড়ার মতো। মাছ চাষ ও বিক্রির অর্থ দিয়ে এই দীঘি রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়। তাছাড়া এর দুইপাশে আলোকায়ন করলে রাতে দীঘির নান্দনিক সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পাবে।

এসময় নগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাচ্চু, সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলল প্রার্থী নিলু নাগ এস কে আকরাম, আজাদ উল্লাহ ,মো.ইদ্রিস, সুদীপ ঘোষ, রিপন ঘোষ, অঞ্চল চত্রুবর্তী, মো. হাসান, প্রদীপ বিকাশ দে, রাজ গোপাল রাজু, কাউসার উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, মাসুদ ভাই, আক্কাস ভাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *