ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্বপ্ন পুরন হবে: চসিক প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে গৌরব ও অহংকারের দিন। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাঙ্গালী জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা।

মহান বিজয় দিবস-২০২০ উপলক্ষে “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

সকাল আটটায় বাটালী হিলস্থ, টাইগারপাস চসিক সম্মেলন কক্ষে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চসিকের সচিব মুহাম্মদ আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।

প্রসাশক আরো বলেন, ইতিহাসের এক বিশেষ সন্ধিক্ষনে আজ আমরা এই বিজয় দিবস উদযাপন করছি। এ বছর আমরা আমাদের মহান নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ-বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। কয়েকদিন পর আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্পন করবো। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছি। গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করে সমগ্র-বিশ্বের বুকে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী-২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পুরন হবে।

তিনি আরো বলেন, এই বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক দেশ থেকে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা এবং স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মানকারীদের রুখে দেয়া।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যেগে বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোর সাড়ে ছয়টায় বাটালিহিলস্থ, টাইগারপস অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকাল সাড়ে আটটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়ে চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বিজয়ের অনুভূতি সবসময় আনন্দের। তবে একই সাথে দিনটি বেদনারও। বিশেষ করে যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের জন্য। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল একরাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে। উনপঞ্চাশ বছরের এ পথপরিক্রমায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবুও আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার স্বপ্ন পুরণ করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে সব সমস্যা মোকাবেলায় সচেষ্ট হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হবে।

কেন্দ্রিয় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, আঞ্চলিক প্রধান নির্বাহী আফিয়া আখতার, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা ফাতেমা চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, আতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী , সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ, সাধারণ সম্পদাক মুজিবুর রহমানসহ চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *