চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, কর প্রদানকারী নগরবাসী আমার কাছে নমস্য। তাদেরকে আমি সম্মান করি। চট্টগ্রাম নগরী বার আউলিয়ার পূণ্য ভূমি। মাস্টার দা সূর্যসেন, জহুর আহম্মদ চৌধুরী, এম এ আজিজ, মহিউদ্দীন চৌধুরীর প্রিয় এই শহর। আমাদের এই প্রিয় নগরকে হকার নেতার নামে গুটিকয়েক চাঁদাবাজের কাছে জিম্মি হতে দিবো না।
আমি খোদার কসম করে বলতে পারি আমার দল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন হকারদের কাছ থেকে কোন চাঁদা নেন না। যেসব হকার নেতার নামে চাঁদা নেয়া হয়, তা দেয়া বন্ধ করে দিন। দেখি ওরা কারা! যদি কেউ হকার নেতা সেজে চাঁদাবাজি করে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি ততদিন নগরীতে কোন দুর্ভোগ হতে দিবনা। প্রাণপন দিয়ে হকার নেতারূপী চাঁদাবাজদের প্রতিহত করবো। প্রকৃত হকারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমি পাশে আছি।
তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর স্টেশন রোডস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-৪ আয়োজিত স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও উপ-কর কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) মো.সারেক উল্লাহ, কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) মো.নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মো.রমিজুল হক চৌধুরী, রতন ভট্টাচার্য্য, ক্রোকী কর্মকর্তা বাবু বিনয় ভুষন আচার্য্য।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, হকাররা নগরীতে প্রতিদিন বেলা ৩ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অস্থায়ী চৌকি বসিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। এই সময়সীমার আগে কোনভাবেই সড়ক-ফুটপাত দখল করে নগরবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ব্যবসা করা যাবে না। যেসব হকার আমার এই প্রস্তাব মানবে তাদের আমি নির্বিগ্নে ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পোশাক ও পরিচয়পত্র দিব। তবে প্রত্যেকের পরিচয়পত্র স্ব-স্ব হকারের হাতে দেয়া হবে। তবে নেতারূপী কোন চাঁদাবাজের হাতে তা দেয়া হবেনা। এসব হকাররা যদি কোন হয়রানির শিকার হন প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াবো।
তিনি বলেন, আমাদের দল এখন ক্ষমতায় আছে বলে যে কেউ মুজিবকোর্ট পরে নেতা সেজে চাঁদাবাজি করবে তা হতে দিবো না।
প্রশাসক বলেন, আগে নগরবাসী অভিযোগ করতেন কর আদায়কারীরা পৌর কর নিতে বাসায় যান না। তাই ভোগান্তি কমাতে স্পটে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর ব্যবস্থা করা হলো। ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া কর ও ট্রেড লাইসেন্স দেয়া যাবে। জানুয়ারি থেকে বকেয়া আদায়ে জরিমানাসহ আইনি সব ব্যবস্থা নিব। প্রয়োজনে যেসব নগরবাসী কর দিবেন না তাদের নাগরিকসেবাও বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি যেসব ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স নাই তাদের দ্রুত তা নিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্যবসার প্রথম স্বীকৃতি হলো ট্রেড লাইসেন্স। কজেই তা নিয়ে নিন।
পরে কর প্রদানকারী ও ট্রেড লাইসেন্স নেয়া কয়েকজন গ্রাহককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রশাসক।
আজ কর-প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রাহক হলো মোটেল সৈকত, আম্বিয়া গ্রুপ, রোকসানা বেগম, মুস্তাফিজুর রহমান,শামসুল ইসলাম। তবে প্রথম দিনে আদায় করা হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
Leave a Reply