জাতিসত্ত্বার ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন : সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা জে.এম সেন এর বাড়ি দখলের চেষ্টা প্রতিহত করতে আজ বুধবার দুপুরে কর্পোরেশনের টাইগারপাস অস্থায়ী অফিসে চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষাত করে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

বিশেষ শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন যাত্রা মোহন সেন (জেএমসেন) ভবন ভাঙ্গা চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা করে তাঁর স্থানে ২০১৮ সালের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে চট্টগ্রামের বিপ্লবী তথা ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি রক্ষার্থে যাদুঘর প্রতিষ্ঠায় আশু পদক্ষেপ গ্রহনে স্মারকলিপি প্রদানকালে চট্টগ্রাম ইতহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও কবি ও সাংবাদিক আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি মানিক চৌধুরীর ছেলে কল্পতরু চৌধুরী কাজল চট্টগ্রাম ইতিহাস চট্টগ্রাম ইতহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সংগঠক অলিউর রহমান তাদের সাথে ছিলেন।

স্মারকলিপি গ্রহণকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা যাত্রা মোহন সেনগুপ্তের দেড়‘শ বছরের পুরনো বাড়িটি শুধু আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার স্থান না। এটি বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের সাহসী তরুণের সাহসী ঠিকানা। তাই এই স্মৃতি জাতীয় স্বার্থে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভাগ্যক্রমে এই বাড়িটি অপাতত রক্ষা পেল, কারণ এডভোকেট রানাদাশ গুপ্তের বাড়ি এর পাশে ছিল।

তিনি বলেন, এরকম আরো বহু ঐতিহাসিক স্মৃতিধন্য স্থান দখল হয়ে গেছে দখলবাজ দুর্বৃত্তদের হাতে। এসবও আমাদের রক্ষা করতে হবে।

তিনি আগামীকাল (৭ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার এর মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিধন্য এই বাড়ি রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পত্র লিখবেন বলে জানান।

প্রশাসক বলেন, পাকিস্তান আমলে যুদ্ধকালীন সময়ে যেসব বাড়ি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের আমলে তা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এভাবে দিনদুপুরে কোন বাড়ি দখল করে নেয়া মানে দেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র। তিনি এই বাড়ি রক্ষার্থে এডভোকেট রানাদাশ গুপ্তকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন এবং এই আন্দোলনের সাথে তাঁর একাত্মতা ঘোষণা করেন। প্রশাসক এই আন্দোলন সহ যে কোন ভালো কাজের পক্ষে তাঁর দৃড় অবস্থান ব্যক্ত করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *