তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন, “তুরস্ক ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক অত্যন্ত চমৎকার। অর্থনৈতিকভাবেও দুইদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি এবং মাথাপিছু আয় আশাব্যঞ্জকভাবে এগিয়েছে। বাংলাদেশে এখন তুরস্কের বিনিয়োগও বেড়েছে।”
চুয়েটকে বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমান বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ইনোভেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেসরকারি সেক্টরে স্কিলস ডেভেলমেন্ট ভীষণ জরুরি। প্রযুক্তিগত দক্ষতা নতুন প্রজন্মকে অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে যাবে। সে লক্ষ্যে দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একাডেমিক এক্সচেঞ্জ, রিসার্চ প্রোগ্রাম ও একাডেমিক কোলাবোরেশনের ব্যাপারে আমরা আগ্রহী। একইভাবে চুয়েটের সাথেও তুরস্কের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পারস্পরিক বিনিময় বাড়াতে আশাবাদী।”
তিনি আজ রবিবার (১০ জানুয়ারি (রবিবার) বিকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ডীন, পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতারের সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামস্থ তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাসেম খান এবং চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল জনাব সালাহউদ্দিন কাসেম খান বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। দুই দেশের একাডেমিক কোলাবোরেশনের ব্যাপারে তুরস্ক আগ্রহী। এ.কে. খান ফাউন্ডেশন দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চুয়েটের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। এইটা আমাদের আশাবাদী করে তুলছে।”
চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “তুরস্কের সাথে চুয়েটের সর্ম্পক পুরনো। ২০১৪ সালে তুরস্কের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত চুয়েট ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। বর্তমানে তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য মাত্রা পেয়েছে। তুরস্কের সাথে আমরা দ্বিপাক্ষিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় ও যৌথ গবেষণা প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়ে আশাবাদী।”
এর আগে চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়ের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় চট্টগ্রামস্থ তুরস্কের অনারারি কনসুল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাসেম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মিত শামসেন নাহার খান হল পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply