খাল ভরাট হলে দায় বর্তাবে স্থানীয়দের ঘাড়ে: চসিক প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে চলমান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীর অন্যতম পানি চলাচল পথ চশমা হিলস্থ খালটিকে আবর্জনা মুক্তকরণ অভিযানের কাজ আজ শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ২টি স্কেভেটর, ১০টি ডাম্পিং ট্রাক যুক্ত হয় এবং বর্জ্য অপসারণে চসিকের পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০০ এর অধিক কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।

এসময় ওয়াটসআপে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন জানান, রুবি গেইট থেকে ষোলশহর ২নং গেইট পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি বছরের পর বছর ধরে পলিথিন, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য গৃহস্থালী বর্জ্য ময়লা-আবর্জনায় ভাগাড়ে পরিণত হয়ে আছে। খালটির বেশ কিছু অংশ ভরাট হয়ে গেছে এবং খালের মাঝখানে বড় বড় গাছ-গাছালী বেড়ে ওঠায় পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। একারণে বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। তিনি আরো বলেন, এই খালটির আশে-পাশের স্থানীয় অধিবাসীরা অজ্ঞানে-স্বজ্ঞানে দীর্ঘ দিন থেকে এটাকে ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলে চরম অসচেতনার পরিচয় দিয়ে আসছেন। তাদের এই গর্হিত মনোভাব ও গাফেলতি আত্মঘাতী এবং অপরিনামদর্শী। খালটির পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বর্জ্য ও আবর্জনা মুক্ত করার পর আবারও এটা যদি পূর্র্বের অবস্থায় ফিরে যায় তাহলে তার দায় স্থানীয়দের উপর বর্তাবে। এ জন্য যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দন্ডিত করা হবে এবং তাদেরকে দিয়েই খালটি পরিস্কার করা হবে বলে প্রশাসক হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলমান এই আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসূচীতে প্রায় ২০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। খালটির বর্জ্য পরিপূর্ণ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে জানান চসিক প্রশাসক।

চশমাহিল সংলগ্ন খাল পরিচ্ছন্ন ও আবর্জনা মুক্তকরণ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মির্জা ফজলুল কাদের, প্রশাসকের একান্ত সহকারি সচিব স্বরূপ দত্ত রাজু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা প্রমুখ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *