লোহাগাড়ায় প্রস্তুত মুজিববর্ষের উপহারের ১৮ ঘর : শনিবার তুলে দেয়া হবে গৃহহীনদের

এ. কে. আজাদ, লোহাগাড়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৯ ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমিসহ নতুনঘর পাচ্ছে ১৮ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। বর্তমানে ঘরগুলো নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।

শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪৯২টি উপজেলায় যুক্ত হয়ে গৃহহীন-ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের এ উপহার উপকারভোগীদের হাতে আনুষ্টানিকভাবে তুলে দেবেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুচ্ছগ্রাম-২ (সিভিআরপি) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপির আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় লোহাগাড়ায় দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ১৮টি ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। যার প্রতিটি ঘরের জন্য সরকার বরাদ্দ রেখেছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি বাড়িতে দুটি কক্ষ, সংযুক্ত রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।

এখনই উল্লাসিত ও আনন্দিত আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হতদরিদ্র অসহায় পরিবারগুলো।
জানতে চাইলে নির্বাচিত হত-দরিদ্র পরিবারের লোকজন বলেন, এতোকাল আরেক জনের নোংরা বাসায় থাকছি, এখন নতুন ঘর পাচ্ছি, আনন্দ লাগছে অনেক। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

লোহাগাড়ায় নির্মিত এসব ঘরগুলো সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম শাওন ভূঁইয়া।

এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু বলেন, ঘরগুলোর নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার‘ এ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যেই লোহাগাড়ায় সরকারি খাস জায়গার ওপর ভূমিহীনদের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যাদের কোনও ঘর ও জমি নেই, তাদের এখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদের মধ্যে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বামী পরিত্যক্ত ও প্রতিবন্ধীদের। প্রত্যেক পরিবারকে জমির মালিকানাসহ লিখে দেয়া হচ্ছে দুই কক্ষের একটি বসতঘর। তার সঙ্গে থাকছে রান্নাঘর, বাথরুম ও সামনে খোলা বারান্দা। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এতে হতদরিদ্র সুবিধাভোগীরা দারুণ খুশি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *