বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ফেব্রুয়ারী মাস বাঙালির ভাষার অধিকার আদায়ের মাস। এই একুশের চেতনাকে ধারন করে আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা। এই মাঘ মাস তীব্র শীতের মাস। এই মাসে বাঙালি ঘরে ঘরে পিঠে পুলির আয়োজন থাকে, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। আজকের এই দিনে পিঠা উৎসবের মত একটি আয়োজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। আমাদের এই দেশের সংস্কৃতিতে মিশে আছে নবান্নের ধান, পিঠেপুলির আয়োজন। মাঘের হীম শীতল পরিবেশে কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পিঠা উৎসবের আয়োজন যান্ত্রিক জীবনের একটু হলেও প্রাণের আনন্দের সঞ্চার করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি আজ সোমবার সন্ধ্যায় চসিকের লালদিঘী পার্কে চসিক আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন সংস্কৃতি বিবর্জিত। ৬০-৭০ এর দশকের রাজনীতিতে যুক্ত কর্মীরা সংস্কৃতির চর্চাও করেছেন। যে কারনে তাদের মনন জগতে গুনগত পরিবর্তন হয়েছিল। বাংলা ও বাঙালির যে মনন ও বাংলার যে সংস্কৃতি তাঁর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি বলেন, প্রশাসক জ্যোৎস্না উৎসবের আয়োজন করেছেন। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংস্কৃতি চেতনাকে ধারন করে এগুতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়া সম্ভব।

পিঠা উৎসবের কবিতা পাঠের পাশাপাশি আড্ডারও আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমনা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের চট্টগ্রামের কবিতা প্রেমী মানুষ ও কবি- সাহিত্যিকদের জন্য নানা রকম পিঠাপুলির আয়োজন করেন।

আয়োজনের মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, খেজুরের রস, ছাঁচ পিঠা , পাঠি সাপটা, সঁই ফাকুন,তালের পিঠা, ছ্যাইনা পিঠা, চিতল পিঠা আরো কত কি।

এসময় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন প্রফেসর ড. মোহিতুল আলম, কবি খুরশিদ আনোয়ার, রাশেদ রউফ, খালিদ আহসান, শুক্লা ইফতেখার, সাথি দাশ, আনন্দমোহন রক্ষিত, হোসাইন কবির, আকতার হোসেন, ইউসুফ মাহমুদ, বিজন মজুমদার, আবু মুসা চৌধুরী, হাসিনা শিরিন, আবুল কালাম বেলাল, মুনিরুল মুনির, তালুকদার আব্দুল হালিম, বিপুল বড়ুয়া, মোদাচ্ছের আলী, সাইফুদ্দিন সাকিব, লিটন কুমার চৌধুরী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *