বাংলাদেশের ১৭১ রানের লিড

ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার পরে বল হাতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৯ রানে। বাংলাদেশের লিডের পরিমাণ ১৭১ রান। মিরাজ শিকার করেছেন চারটি উইকেট।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জার্মেইন ব্ল্যাকউড মিরাজের শিকার হলে চা বিরতিতে যায় দুই দল। চা বিরতির পরে ফিরেই তৃতীয় বলেই কেমার রোচকে শিকার করেন মিরাজ। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই রাহকীম কর্নওয়ালকে বোল্ড করেন এই অফস্পিনার।

তাইজুল ইসলাম এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৯ রানে। শেষ ৬ রানে ৫টি উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ পক্ষে মিরাজ শিকার করেছেন মোট ৪টি উইকেট। তার আগে ব্যাট হাতে করেছিলেন ১০৩ রান। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

তার আগে দ্বিতীয় সেশনে তারা দুইজন দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়ে এই দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এগিয়ে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। চার বিরতির ঠিক আগে জসুয়াকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন নাঈম।

উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন জসুয়া। তার আগে ব্ল্যাকউডের সাথে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। জসুয়ার ব্যাট থেকে আসে ১৪১ বলে ৪২ রান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফেরার পরে উইকেটে এসেছেন রাহকীম কর্নওয়াল।

আরেকপ্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে লড়াই করেন ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ব্ল্যাকউড। অর্ধশতক হাঁকান তিনি। জসুয়া ফেরার পরের ওভারেই মিরাজের বলে আবার লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৫ রানে ৮৬ রান।

তৃতীয় দিনের প্রথম বলেই এনক্রুমাহ বনারকে শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দী হয়ে ফেরেন তিনি। ওই ওভারেই কাইল মেয়ার্সের ক্যাচ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। মেয়ার্স ও কাইল ব্রাথওয়েট সকালে বেশ দ্রুত রান তুলতে থাকেন।

অল্প সময়ের মধ্যেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল মেয়ার্স ও ব্রাথওয়েটের মধ্যকার জুটি। ৬৮ বলে ৫৫ রানের এই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। দুর্দান্ত টার্ন করা এক ডেলিভারিতে ব্রাথওয়েটকে বোল্ড করেন এই ডানহাতি স্পিনার। ১১১ বলে ৭৬ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। তার ইনিংসটিতে ছিল ১২টি চার।

তাইজুল-নাঈমদের ওপর ছুরি ঘুরিয়ে মাঠের চারদিকে বাউন্ডারি তুলে নিচ্ছিলেন মেয়ার্স। ব্রাথওয়েটের বিদায়ের পরে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সাথে জুটি গড়েন তিনি। তৃতীয় দিনে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই মেয়ার্সকে শিকার করেন মিরাজ। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন ৪০ রান করে। তার ৬৫ বলের ইনিংসটি ছিল ৭টি চারে সাজানো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেট হারিয়েছিল ১৫৪ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

টস : বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

বাংলাদেশ ১৭১ রানে এগিয়ে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *