হাইকোর্টে হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে।

রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা শুরু করেছেন।

আদালত বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ হাইকোর্টে প্রমাণ করতে পারেনি।

এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো: খুরশীদ আলম খান, হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।

গত ৩১ জানুয়ারি এ শুনানি শুরু হয়েছিল।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা সক ধরনের নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত।
সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।

পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

পরে গত বছরের ৯ নভেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, ৮ নভেম্বর তিনি দুদক থেকে এ মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। পর দিন ৯ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে তিনি আদালতে আবেদন (মেনশন) করেন। আপিলটি কার্যতালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১১ নভেম্বর নথি তলব করেন হাইকোর্ট।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *