মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামের কারসাজিতে যুক্ত আমদানিকারক, ব্রোকার ও বিক্রেতাদের তালিকা পাওয়ার পর সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ ভিত্তিক তিন আড়তদারকে চিহ্নিত করে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর স্টেশন রোডস্থ নুপুর মার্কেটে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দুজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিসি অফিসে আনা হয়। পাশাপাশি একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার আমরা খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন আড়তদারের কাছ থেকে আমদানি সম্পর্কিত এবং ক্রয়-বিক্রয়ের বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। এসব চালান কপির ভিত্তিতে চট্টগ্রামের কয়েকজন পেঁয়াজ আমদানিকারককে চিহ্নিত করে মঙ্গলবার অভিযান শুরু করি।
তিনি বলেন, শুরুতে খাতুনগঞ্জ বিভিন্ন আড়ত থেকে সংগ্রহ করা কয়েকটি ইনভয়েসের ঠিকানা ধরে নগরীর স্টেশন রোডের নপুর মার্কেটে যায়। সেখানে ওশাল কোয়ার্টারে অবস্থিত এস কে ম্যানশনের দুটি বার্মিজ পণ্যের আমদানিকারকের দোকানে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দোকান মালিকের ছেলে জিজ্ঞাসাবাদে বার্মিজ পণ্যের সাথে সম্প্রতি তারা পেঁয়াজ আমদানির কথা স্বীকার করেন।
এসময় দোকান মালিককে না পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানের ম্যানেজার ও মালিকের ছেলেকে আটক করে ডিসি অফিসে আনা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদলের হাতে খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়িরা কারসাজির সাথে জড়িত থাকার যে সিন্ডিকেটের তালিকা দিয়েছেন বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজার টেকনাফের ওই চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে তা চড়া দামে বিভিন্ন আড়তদারের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, নথিপত্র অনুযায়ী গত ২ নভেম্বর বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠান ঘুরে তা সোমবার বিভিন্ন মার্কেটের আড়তদারের কাছে পেঁয়াজগুলো সরবরাহ করেছে।
Leave a Reply