মুজিব বর্ষের উপহার” ৫৩০ ভূমিহীন ঘর পাচ্ছে ফটিকছড়িতে

ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ

মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ফটিকছড়ি উপজেলায় ৬০০টি “ক” শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের ৭০ টি পরিবারকে গত জানুয়ারী মাসে প্রদান করা হয়েছে। বাকী ৫৩০ টি পরিবারারকে আজ মাঝে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে দেশব্যাপী গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে ৩২.৫৬ একর খাস জমি অবৈধ দখলদারদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্ধ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।

ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে পাইন্দং, সুয়াবিল, ভূজপুর এবং কাঞ্চননগর ইউনিয়ন এ ৭০টি গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে পাইন্দং এ ২৬টি, কাঞ্চননগর এ ১০টি, সুয়াবিল ২২টি এবং ভূজপুরে ১২টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছিল।দ্বিতীয় পর্যায়ের ফটিকছড়ি পৌরসভায় ৭৫টি,খিরামে ১০০টি, পাইন্দং এ ১৯৯টি, ভূজপুরে ৮৮টি,সুয়াবিল ১৩টি, নারায়ণহাটে ১০টি, বাগানবাজারে ৩০টি ধর্মপুর ১৫টি সর্বমোট ৫৩০ টি গৃহ নির্মাণ শেষে আজ হস্তান্তর হবে।

পাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সরোযার হোসেন স্বপন জানান, আগে আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করা হতো টিনের। আর এখন করা হচ্ছে পাকা ইটের। তাই গৃহহীন দারিদ্র মানুষের এই ঘর গুলোর প্রতি আগ্রহ বেশী। চট্টগ্রামে সব চেয়ে বেশী ঘর নির্মান হচ্ছে ফটিকছড়িতে আর পাইন্দং ইউনিয়নে। যা আগামী কাল প্রধান মন্ত্রী উদ্ভোধন করবেন। তাই ফটিকছড়ি ও পাইন্দং এলাকার মানুষ আনন্দিত।

ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ জানান, ৬০০ পরিবারকে পূণর্বাসন করতে ইতোমধ্যে ৩২.৫৬ একর খাস জমি অবৈধ দখলদারদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহহীনদের পূণর্বাসনের জন্য উপকারভোগীদের জন্য সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে প্রকল্প স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গভীর নলকূপ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহায়তায় বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কমিউনিটি স্থাপনের নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ- মসজিদ/ধর্মীয় স্থান, কবরস্থান, বিদ্যালয় ও খেলার মাঠের জন্য প্রকল্পস্থলে আলাদা আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে। প্রকল্প স্থলে যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম রাখার জন্য উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

২৪ঘণ্টা/রাসেল

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *