বিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-চেম্বার সভাপতি

জলবায়ু পরিবর্তণ

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-বর্তমান বিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানব জাতি নিজেরাই এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, পৃথিবীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে শিল্পায়নের কারণে এবং মানুষের অসচেতনতার কারণে পরিবেশ দূষণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে এ শতাব্দী শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা ২.০০ থেকে ৪.৫ ডিগ্রী পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে সাগরের উচ্চতা ০.১৮ থেকে ০.৫৯ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকালে সিসিসিআই ও প্রাইভেট ফাইন্যান্স এডভাইজরী নেটওয়ার্ক (পিএফএএন)’র যৌথ আয়োজনে “ফাইন্যান্সিং ক্লাইমেট রেসপন্সিভ বিজনেস” শীর্ষক নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর পিটার দো পন্ট (গৎ. চবঃবৎ উঁ চড়হঃ), কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শ্যামল বর্মন ও ক্লীন এনার্জি বিশেষজ্ঞ উৎপল ভট্টাচার্য্য।

অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, চিটাগাং ক্লাব লিঃ’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান মিয়া আবদুর রহিম, বিকেএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক শওকত ওসমান, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা ও মমতা’র প্রধান নির্বাহী রফিক আহমেদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইশেন (ইউএনআইডিও) এবং রিনিউএ্যাবল এনার্জি এন্ড এনার্জি এফিশিয়ান্সি প্রোগ্রাম (আরইইইপি)’র সহায়তায় জলবায়ুর প্রতি সংবেদনশীল ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহযোগিতা করে থাকে পিএফএএন। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদেরকে এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানানোর লক্ষ্যে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চেম্বার সভাপতি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে প্রাইভেট ফাইন্যান্স এডভাইজরী নেটওয়ার্ক মূলত পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল যেসব ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে তাঁদেরকে সহযোগিতা করা, পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম উৎসাহিত করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কূূফল থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মানবজাতিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। চেম্বার সভাপতি এই অর্থায়ন পদ্ধতি সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এই কর্মসূচীর সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।

এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর পিটার দো পন্ট বলেন-পিএফএএন প্রায় ১.২৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় প্রায় ১০১টি ক্লিন এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যার মাধ্যমে বছরে ৩.৩ মিলিয়ন টন কার্বনড্রাইঅক্সাইড নিঃসরণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করছে।

বাংলাদেশে কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য, পশুপালন, বনায়ন, স্বাস্থ্য, এনার্জি, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটন, রিসাইক্লিন ইত্যাদি খাতে যারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম পরিবেশ দূষণ করছেন তাদেরকে অর্থায়ন করা এ সংগঠনের প্রধান কর্মকান্ড।

অনুষ্ঠানে পিএফএএন’র মাধ্যমে অর্থায়ন সংগ্রহে আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শ্যামল বর্মন এবং কিভাবে পরিবেশবান্ধব পদ্ধিতে এনার্জি এফিশিয়ান্সি নিশ্চিত করা যায় তা তুলে ধরেন আরইইইপি’র ক্লীন এনার্জি বিশেষজ্ঞ উৎপল ভট্টাচার্য্য।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *