পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে জড়িত আড়তদারদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অধিক মুনাফায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতিও যেন কোন কাজে আসছে না। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত বুধবারের অভিযানেও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির প্রমান পেয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার নগরীর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের মাহিন এন্টারপ্রাইজ নামক একটি আড়তদারকে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
অভিযান শেষে তিনি জানান, পেঁয়াজের দরে উদ্ধগতি থামাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলও যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে পেঁয়াজের বাজারের কারসাজিতে জড়িত সিন্ডিকেটের একটি তালিকাও করা হয়। জরিমানা আদায়, প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ কারসাজিতে জড়িত কয়েকজন ব্যবসায়িকে দেয়া হয় সাজা। আরো খবর : পেঁয়াজের দরে কারসাজির তালিকায় অভিযান শুরু
কিন্তু এরপরও চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। অসাধু ব্যবসায়িরা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি টেকনাফ ও কক্সবাজারে পেঁয়াজের বাজারে নিয়মিত মনিটরিংয়ে অসাধু ব্যবসায়িরা এখন কৌশল পরিবর্তণ করে মিশর ও চীনের পেঁয়াজের দামে কারসাজি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মিশর ও চীনের পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা আমদানি মূল্য হলে পাইকারিতে ৫০ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু বুধবার অভিযানের সময় দেখা যায় মাহিন এন্টারপ্রাইজ নামক এক প্রতিষ্ঠানে এসব পেঁয়াজ অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। আরো খবর : পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট
এমনকি আমদানি ও বিক্রিত মালামালের সঠিক কোন কাগজ পত্রও তারা দেখাতে পারেনি। ফলে আড়তদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
পেঁয়াজের বাজারে যতদিন স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় ততদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে রেয়াজ উদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজের মূল্যে কারসাজি ও মজুদদারির অভিযোগে ঘোষাল কোয়ার্টার এলাকার জে এস ট্রেডার্সের মালিক মিনহাজুদ্দিন বাপ্পি (২৮) এবং এ হোসেন ব্রাদাসের মালিক আবুল হোসেনকে (৫৫) ১৫ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply