চট্টগ্রামে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত আরো এক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ৪৮ বছর বয়সী পুরুষ ওই রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে ষাটোর্ধ্ব এক নারীর শরীরেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই নারীই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমিত চট্টগ্রামে প্রথম রোগী। তিনিও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ সোমবার প্রথম ওই রোগীর অপারেশনের (সার্জারী) কথা রয়েছে।
দ্বিতীয় জন হিসেবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া ওই রোগীর বাড়ি কর্ণফুলি উপজেলায়। পরীক্ষার রিপোর্টে গত ৫ আগস্ট তার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর পর ৬ আগস্ট থেকে রোগীকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত ওই রোগী দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। তবে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাজমার জটিলতা ছিল রোগীর।
মুখের এক পাশে দাঁতের ব্যথাজনিত জটিলতায় বেশ কিছুদিন আগে রোগীকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারের পরামর্শে ২৫ জুলাই রোগীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মাঝে মুখের এক পাশ ফুলে গিয়ে চোখসহ ঢেকে যায়। সন্দেজনক মনে হওয়ায় নমুনা সংগ্রহ করে ২৮ জুলাই তা ঢাকায় পাঠান ডাক্তার। ৫ আগষ্ট পরীক্ষার রিপোর্টে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ শনাক্তের বিষয়টি জানা যায়। ব্যবসার কারণে প্রায় সময় ঢাকায় যাতায়াত ছিল রোগীর। দাঁত ব্যথাসহ জটিলতা শুরুর আগে রোগী ১৫ দিন মতো ঢাকায় ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। ঢাকা থেকে আসার পর জটিলতা বেড়ে যায়। পরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস করোনাভাইরাসের মতো সংক্রামক নয়, তাই এটি নিয়ে ততটা চিন্তার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Leave a Reply