রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি পয়েন্টেই পানি কমেছে। তবে দৌলতদিয়া ও সেনগ্রাম পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে দৌলতদিয়া, মহেন্দ্রপুর ও সেনগ্রাম পয়েন্টের পানি পরিমাপের গেজ রিডাররা এ তথ্য জানায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডারদের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এ ছাড়া পাংশা সেনগ্রাম পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে এবং সদরের মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
এদিকে গত কয়েকদিনে পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও বেড়িবাঁধের নিচের এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। ফলে রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। একইসঙ্গে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কট। নষ্ট হয়েছে বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি ক্ষেত। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট রয়েছে।
পানিবন্দি সালমা বেগম বলেন, ‘বন্যার পানি উঠাতে আমরা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। রান্না করতে পারছি না। খাওয়ার কোনো ঠিক নেই। জানি না কবে এই সমস্যার সমাধান হবে।’
কালুখালীর হরিণাবাড়িয়া চরের রহিম মিয়া বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকলেও এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি।
দেবগ্রাম ইউনিয়নের রাজিয়া খাতুন বলেন, আমরা ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। সবসময় ভয়ে থাকি। কখন তারা পানিতে পড়ে যায়। এ ছাড়া সাপ, পোকামাকড়ের উপদ্রব তো আছেই।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক বলেন, পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। এবার রাজবাড়ীতে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই। যারা পানিবন্দি রয়েছে তাদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এন-কে
Leave a Reply