ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূলের ৩১০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করেছে

গতিবেগ বেড়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উপকূলের ৩১০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিং-এ আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সকাল ৯টার সময় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটারের মধ্যে আবস্থান করছে। পায়রা থেকে ৩৩৫, কক্সবাজার থেকে ৪৮০ ও চট্টগ্রাম থেকে ৪৯০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক আয়শা খানম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের ৭ নম্বর সংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সর্তকতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ওইসব এলাকার সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিন তুলে ধরে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আয়শা খানম জানান ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *