সমুদ্রবন্দরসমূহে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

উপকূল অতিক্রম করার পর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের কোথাও আর মহাবিপদ সংকেত নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে করে চার সমুদ্রবন্দরকে সংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আশঙ্কায় দেশের যেসব জায়গায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছিল সেসব জায়গা থেকে মহাবিপদ সংকেত তুলে নেয়া হয়েছে, জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়।

নৌ-রুটগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত মেনে চলতে হবে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল অনেকটা দুর্বল হয়ে এটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। এটি বর্তমানে বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়।

সকাল ৮টায় এক ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে উপকূলীয় পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮ কি.মি. বেগে এগোচ্ছে বুলবুল। এর কেন্দ্রে সাগর উত্তাল অবস্থায় আছে। উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে শনিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে খুলনা উপকূল অতিক্রম করেছে। এর প্রভাবে উপকূল এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বিরাজ করেছে। ইতিমধ্যেই জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও ভোলা লোকালয়ে। ভেঙে পড়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালাও।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *