রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবীতে সিএমইউজের উদ্যোগে পেশাজীবী সমাবেশ

চট্টগ্রামের সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের পেশাজীবী সমাবেশ থেকে বিএফইউজে সাবেক সভাপতি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা রুহুল আমিন গাজীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার দাবি জানানো হয়।আজ ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) উদ্যোগে সাংবাদিকদের শীর্ষ নেতার রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে সাংবাদিক পেশাজীবীদের এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

সিএমইউজের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে)র সাবেক সভাপতি জনাব মোঃ ইস্কান্দার আলী চৌধুরী।সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় অংশ হিসেবে দেশের একজন শীর্ষ সাংবাদিক নেতাকে গত দশ মাস ধরে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। যেখানে খুনি, দুর্নীতিবাজ অপরাধী, গডফাদাররা দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষমা করে দেওয়া হচ্ছে সেখানে মিডিয়াকর্মী লেখক-সাংবাদিক ন্যূনতম আইনি সাংবিধানিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত।বক্তারা আরও বলেন দুর্নীতি-দুঃশাসন অবলম্বন করতে মিডিয়াকে সরকার সবচেয়ে বেশি প্রতিপক্ষ মনে করে।আর এই কারনেই মজলুম সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে মাসের পর মাস কারাগারে আটকে রেখেছে।গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। বক্তারা অবিলম্বে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ সহ সব সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রুহুল আমিন গাজীর মুক্তি দাবি করেছেন।

সমাবেশে পেশাজীবি দেশের সাংবাদিকদের ১১ নেতাদের ব্যাংক হিসেব তলব করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার নীল নকশার মাধ্যমে আবারও ক্ষমতা দখলের জন্য পরিকলিপ্তভাবে গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ রাখতে সাংবাদিক নেতাদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য গণহারে ব্যাংক হিসেব তলব করেছে।সিএমইউজে’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন .বিএফইউজে সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদুল করিম কচি, সাবেক পিপি, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ডা: জসিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, ডা: বেলায়েত হোসেন ঢালী, ডাঃ সরোয়ার আলম, সাংবাদিক নেতা মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, সালেহ নোমান, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, কামরুল হুদা, মোহাম্মদ তোয়াহা, দিদারুল হক, মোহাম্মদ হোসাইন, জীবন মুছা এবং জামাল উদ্দিন হাওলাদার, নুরুল আমিন মিন্টু প্রমুখ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *