সেই হাতিটি মারা গেছে

চট্টগ্রামের লোহাগড়ার চুনতিতে কাদা মাটিতে আটকে পড়া হাতিটি পায়ে জখম নিয়ে পালের সাথে আর চলতে পারছিল না বয়সের ভারে, কাদাপানিতে ঠাঁই নেওয়ার দুইদিন পর বৃদ্ধ হাতিটি মারা গেল।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে ট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের নারিশ্চা চাকমা জোন এলাকায় মাদি হাতিটি মারা যায়।

হাতিটির মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে সেখানেই মাটিচাপা দেওয়া হবে জানিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ।

তিনি বলেন, “আজ সকালে হাতিটি মারা গেছে। এটির ‘গ্যাংগ্রিন’ (পচনশীল ঘা) আঘাত ছিল। অনেকদিন ধরেই এটি অসুস্থ ছিল।”

৮ নভেম্বর (শুক্রবার) চুনতির নারিশ্চা গ্রামের চাকমার জোন এলাকায় হাতিটি কাদায় আটকে পড়ে। পরে শনিবার সকালে সেটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চুনতি কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, হাতিটির বয়স প্রায় ৭০ বছর। এর পেছনের বাম পায়ে গ্যাংগ্রিন ছিল।

“পায়ে আঘাতের কারণে এটি আগে থেকেই স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারত না। লার্জ এনিম্যালের আচরণ হল এরা মৃত্যুর সময় পানির কাছাকাছি আশ্রয় নেয়। একটি হাতির জন্য পানি খুবই প্রয়োজনীয়। হাতিটি আর চলতে না পেরে পানি আছে এরকম একটি জায়গায় অবস্থান নিয়েছিল।”

গত শুক্রবার নারিশ্চা চাকমা জোন এলাকায় হাতিটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা জনপ্রতিনিধিদের খবর দেয়। জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানান।

বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, বন বিভাগের চুনতি ও পদুয়া রেঞ্জ এবং ডুলহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের চিকিৎসক দল শনিবার সেখানে পৌঁছে।

মনজুরুল আলম বলেন, “গতকাল আমরা হাতিটি সরিয়ে শেডের নিচে নিয়ে আসি। খড়কুটো বিছিয়ে সেটিকে রাখি। চিকিৎসা দেওয়া হয়, খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

“সম্ভবত বয়সের কারণে এবং পায়ের আঘাতের কারণে ঠিকমত খেতে না পারায় এটি মারা গেছে। পোস্ট মর্টেম করা হচ্ছে।”

শুক্রবার রাত পর্যন্ত পাশের পাহাড়ে হাতির পাল ছিল জানিয়ে মনজুরুল আলম বলেন, চুনতি অভায়রণ্য ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় কয়েকটি হাতির পাল আছে। যাতে আনুমানিক ৫০টির মতো হাতি আছে। এসব পালে আরও কয়েকটি পঞ্চাশোর্ধ বয়সী হাতি আছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *