চট্টগ্রামের রাউজানের পৌর এলাকার সুলতানপুর নন্দন পার্কে ২ অক্টোবর শনিবার চলছিল বিয়ের আয়োজন। বর ও কনে পক্ষের কয়েক শতাধিক মেহমানের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানে তখন উৎসবের আমেজ। খাবার টেবিলে ভোজনে ব্যস্ত অতিথিরা। বর ও কনে নিজ নিজ স্টেজে মেহমানদের সাথে ফটোসেশনে ব্যস্ত। এমন সময় বাল্য বিবাহের আয়োজনের সংবাদ পেয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ। এ সময় বর ও কনে উভয়পক্ষকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন তিনি।
জানা যায়, রাউজান পৌরসভার আলীখিল গ্রামের মো. সিরাজের পুত্র মো. ইকবালের সাথে ১০ নং পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আধার মানিক গ্রামের সানা উল্লার মেয়ে সামিরা সুলতানার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ইউএনও জোনায়েদ কবির সোহাগ অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে কনের পরিবারকে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার কাগজপত্র দেখাতে বলেন। এ সময় কনে পক্ষ চট্টগ্রামের নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের এফিডেভিট দেখায়। তখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এটির গ্রহণযোগ্যতা নেই। জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের কাগজ দেখাতে হবে। কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় বাল্য বিয়ের অপরাধে বর পক্ষকে ২০হাজার ও কনে পক্ষকে ১০হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এ সময় বিয়ের অনুষ্ঠান পণ্ড করে বর-কনে ও আগত মেহমানদের পার্ক থেকে বের করে দেয়া হয়। এসময় বর-কনেসহ আগত অনেক অতিথি না খেয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, গোপন সুত্রে বাল্যবিবাহের কথা জানতে পেরে আমরা বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে কনের পরিবারকে মেয়ের কাগজপত্র (জন্মনিবন্ধন/এনআইডি) দেখানোর কথা বলি। কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় বাল্যবিবাহের অপরাধে দুই পরিবারকে ৩০হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
Leave a Reply