ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুম ফের কারাগারে

২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় ফের কারাগারে গেলেন এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মাসুমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, সুদীপ্ত হত্যা মামলায় এর আগে হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম। পরে বাদিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আপিল বিভাগ সেই জামিন বাতিল করে। পাশাপাশি ১৩ নভেম্বর মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেয় আদালত।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাসুম আজ মঙ্গলবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে আত্মসর্মপণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানিয়েছেন, দিদারুল আলম মাসুম অসুস্থ, তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। ফলে আদালতে তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে বিচারক কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

দিদারুল আলম মাসুম লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যায় ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত। এর আগে ৪ আগষ্ট রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় ঢাকা বনানীর কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ-এর ব্লু-ওশান টাওয়ারের সামনে থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম।

উল্লেখ্য : ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার মিজানুর রহমান নামে এক আসামি গত ১২ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তিনি সুদীপ্ত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ‘বড় ভাই’ হিসেবে দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করেন।

এদিকে হত্যাকান্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ১৫ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পান মাসুম।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *