ইন্দোর টেস্টে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতের ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তার ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেয়েছে ভারত। সেই সাথে বড় রানের পথে দলীয় সংগ্রহও।
লাঞ্চ ব্রেকের পর সেঞ্চুরি হাঁকান মায়াঙ্ক আগারওয়াল। সেঞ্চুরি থেকে নিজের ইনিংসকে নিয়ে যান দেড়শ রানে। মায়াঙ্ককে যোগ্য সঙ্গ দেন অজিঙ্কা রাহানে। এমনিতেই বড় লিডের পথে এগোচ্ছিল ভারত। লাঞ্চ ব্রেকের পর ফিফটির দেখা পান রাহানেও। তবে সেখানেই থামেননি এ দুই ব্যাটসম্যান। মায়াঙ্কের সেঞ্চুরির পর ভারতের অধিনায়ক কোহলি ইঙ্গিত দেন ডাবল সেঞ্চুরি করার।
কোহলির কথামত দেড়শ’র ইনিংসকে নিয়ে ডাবল শতকে! টেস্ট ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে দুইটি ডাবল শতকের দেখা পেয়েছেন মায়াঙ্ক। ডাবল হাঁকানোর পর ড্রেসিংরুম থেকে ফের ট্রিপল সেঞ্চুরি করার ইঙ্গিত দেন কোহলি। সেদিকেও এগোচ্ছিলেন তিনি। এ দুই ব্যাটসম্যান যখন দলের রান এগিয়ে নিচ্ছিলেন তখন ফের বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে আবু জায়েদ রাহি।
ব্যক্তিগত ৮৬ রানে রাহির বলে তাইজুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহানে। সেই সাথে রাহি ভাঙেন ১৯০ রানের জুটিও। ডাবল সেঞ্চুরির পরই দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে তার সেই ইনিংস থামিয়ে দেন মেহেদী হাসান। তার বলে সুইপ করে বাউন্ডারিতে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন রাহি। ৩৩০ বলে ২৪৩ করে থামে তার ইনিংস।
অন্যদিক থেকে দলের লিড বড় করতে থাকেন জাদেজা। শেষ বিকেলে ঋদ্ধিমান সাহাকে বোল্ড করেন এবাদত। শেষ বিকেলে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বোলার উমেশ যাদব। রাহি, এবাদতকে পাত্তাই দেননি তিনি। উমেশের ঝড়ের পাশাপাশি ফিফটিও হাঁকান জাদেজা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনে শেহসে ৪৯৩ রান করে ভারত। সেই সাথে লিড নেয় ৩৪৩ রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১৫০ (মুশফিক ৪৩, মুমিনুল ৩৭: ৩-২৭
ভারত (১ম ইনিংস) ৪৯৩-৬ (আগারওয়াল ২৪৩, উমেশ ২৫*, রাহানে ৮৬: রাহি ৪-১০৮
Leave a Reply