‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চাকরির পেছনে না ঘুরে চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিজের গ্রামে গেলে প্রতিবেশী ছেলেমেয়েদের সাক্ষরজ্ঞান দিতে হবে। চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজে চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

আজ বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

তিনি বলেন, অহেতুক অর্থের পেছনে না ঘুরে নিজেকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। মহৎ হতে মহৎ ত্যাগ লাগবে, এটা জতির পিতার শিক্ষা।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ দুর্বিপাকে ছাত্রলীগসহ আমাদের নেতাকর্মীরা পাশে ছিল। করোনায় মৃতদের মরদেহ দাফন, ধান কেটে দেওয়াসহ নানা কাজ করে দিয়েছে। এ জন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দাদের রিপোর্টের সংকলন প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বর্তমান ও সাবেক ছাত্রনেতাদের বলব, বিষয়গুলো দেখতে ও পড়তে। এর মধ্য দিয়ে নিজেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বলবো। দেশপ্রেম না থাকলে ক্ষমতায় থাকা যায়, মানুষের জন্য কাজ করা যায় না।

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে হবে। এগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার কাজে ছাত্রলীগকে মনোনিবেশ করতে হবে। ৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের জন্য নিজেদের তৈরি করে গড়ে তুলতে হবে, যোগ করে।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর দেশ গড়ার ইতিহাস তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে নতুন করে গড়ে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি নিয়েছেন জাতিসংঘ থেকে। তিনি অসাধ্য সাধন করে যান। পৃথিবীর কোনো দেশ বা নেতা এটা করতে পারেননি।

শেখ হাসিনা বলেন, জানি অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এগুলো আমি মাথায় রাখিও না। আমি বিভ্রান্তও না। কারণ আমরা সারাজীবনই দেখেছি এটা হচ্ছে, এটা হবেই। কিন্তু একটা আদর্শ নিয়ে চলতে গেলে, একটা লক্ষ্য স্থির করে চললে, বাংলাদেশের তৃণমূলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে গেলে, যারা ওপরে থেকে বেশি বেশি খায়, বেশি বেশি পায় তাদের তো একটু দুঃখ থাকেই। তারা ভাবে আমাদের বোধ হয় জায়গা হবে না। সে জন্য ষড়যন্ত্র করতেই থাকে। আর কিছু লোকের তো লক্ষ্যই থাকে যে একটা পতাকা পেতে হবে বা একটু ক্ষমতায় যেতে হবে বা ইত্যাদি। এই ধরনের যাদের আকাঙ্ক্ষা বেশি তারা তো দেশের মানুষের ভাগ্যের কথা চিন্তা করে না।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *