সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনুপম আদর্শ আওলাদে রাসূল (দ.), ইমামে আহলে সুন্নাত, শায়খুল ইসলাম, হুজুর গাউছুল ওয়ারা, হযরত শাহসূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.) শীর্ষক সেমিনার, স্মরণ সভা ও গুণীজন সম্মাননা আজ ২৯ জানুয়ারি, শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া দরসে নেজামী মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র সংসদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’র চেয়ারম্যান শাহসূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানব মুক্তির নির্ভুল দিকনির্দেশনার মাধ্যমে ইসলামের আলোক শিখায় মানুষকে আলোকিত ও পরিশুদ্ধ জীবনের দিশা দেওয়াই হচ্ছে প্রিয়নবী (দ.)’র জীবন দর্শন। তিনি বলেন, ব্যক্তি পরিবার, সমাজ জীবনে ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ইসলামী নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে বলেই জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ ও অশান্তি নেমে এসেছে। নবী ওলীদের প্রদর্শিত শান্তির মুক্তির পথে চলে দুনিয়া আখেরাতে সাফল্য ও স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। আত্মশুদ্ধি ও নির্মল আত্মা গঠন ছাড়া কখনো মুক্তির লক্ষ্য অর্জিত হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। হুজুর কেবলা আউলিয়ায়ে কেরামসহ মাইজভাণ্ডারী সূফী তাত্তিক ব্যক্তিদের জীবন দর্শন অনুসরণের মাধ্যমে অশান্তি, অবক্ষয় ও নৈরাজ্যপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ খোঁজার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্হাজ্ব এম রেজাউল করিম।
উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডীন ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী। তিনি বলেন, সততা সহিষ্ণুতা সহানুভূতি ধৈর্য্য, ক্ষমা ও ত্যাগ ধর্মের মূল সোপান। এই গুণেই হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী মানুষকে মানবতা, মানবপ্রেম ও সম্প্রীতির আদর্শে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি তাঁর কর্মাচরণে মানুষকে মানুষের মর্যাদায় উন্নীত করে বিবেকবোধ জাগিয়ে পরিশুদ্ধ করে তোলতেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণেই তিনি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের নিকট সমাদৃত হন। এটাই সূফি সাধক তথা আউলিয়ায়ে কেরামের শিক্ষা। বক্তারা হুজুর কেবলার জীবনাদর্শ তথা আউলিয়ায়ে কেরামের অনুসরণের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হযরতুল আল্লামা আবুল কাশেম নূরী (মা.জি.আ.), আন্জুমান সাবেক সভাপতি আল্হাজ্ব মুহাম্মদ ইকবাল রিসালপুরী, আন্জুমান সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো: আলমগীর খান, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব কাজী মহসীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চবির আরবি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএম রফিকুল আলম। হাফেজ নাজের হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক-কলামিস্ট রাজনীতিবিদ প্রফেসর ড. মো: মাসুম চৌধুরী, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ ওমর ফারুক, ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মো: ইসমাইল, হাফেজ মাওলানা কবির হোসেন, হাফেজ মাওলানা মুফতী মাকসুদুর রহমান, শায়খ আজমাঈন আসরার জামালপুরী, মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বিকিড়ন বড়–য়া রাসেল, আন্জুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বোরহান উদ্দিন, উত্তর জেলা সভাপতি খলিফা আবদুল হামিদ, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: শহীদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক শাহ্ মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, আলী মরতুজা সিরাজী, মইনীয়া যুব ফোরামের মহানগর সভাপতি মো: নোমান উদ্দিন রাজিব, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রাজিব, উত্তর জেলা সভাপতি আকবর হোসেন রুবেল, সাধরণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আপন, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মো: মামুন রেজা, সাধারণ সম্পাদক মো: শহীদুল্লাহ, হাফেজ মিজানুর রহমান, হারভাঙ্গিরি দরবার শরীফের আওলাদে পাক, চরনদ্বীপ দরবার শরীফের আওলাদে পাকসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগণ প্রমুখ। সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ছাত্র সংসদের সভাপতি হাফেজ মো: নূরুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল ইসলাম। সেমিনারে ২৪ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
Leave a Reply