তারেক রহমান বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রাণপুরুষ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রাণপুরুষ, তৃণমূল রাজনীতির ধারক বাহক, এই দেশ মা, মাটি ও মানুষের সন্তান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্যাতিত জননেতা দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন আজ।

এমন এক সময়ে আজ আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন পালন করছি যখন দেশে গণতন্ত্রের লেবাচে একদলীয় বাকশালী শাসন চলছে। গুম, খুন, অপহরণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

মিথ্যা মামলায় সাজানো রায় দিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করে গোটা দেশকে জেলা খানায় পরিণত করেছে এই সরকার। বাক ও ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করে অঘোষিত বাকশালী কায়দায় দেশ চলছে। আওয়ামীলীগের লুটপাটের কারণে ধ্বংসের মুখে দেশের অর্থনীতি।

তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান এমনই একজন নেতা যার বহুমুখি প্রতিভায় দেশের জনগণের কাছে অতি প্রিয়। বিএনপিসহ সাধারণ মানুষের কাছে তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা। জনগণকে আপন করে নেয়ার যাদুকরী ক্যারিষমেটিক নেতৃত্ব মার্জিত ব্যবহারের কারণে আর এসব গুণাবলী তাকে বিষ্ময়কর জনপ্রিয়তার অধিকারী করে তুলে।

তারেক রহমান এদেশের মা, মাটি ও মানুষের সন্তান। এই দেশের মা, মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করেই তার সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ ধরেই শহর কেন্দ্রিক রাজনীতিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছিলেন হাটে, মাঠে-ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জে। এই কারণেই তৃণমূল রাজনীতির প্রাণপুরুষ হয়ে উঠেন তারেক রহমান।

তারেক রহমান রাজনীতিতে এসে বুঝতে পেরেছিলেন দেশের উন্নয়ন চাইলে গ্রামে-গঞ্জের উন্নয়ন করতে হবে। তাই তিনি পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করেই গ্রাম-গঞ্জের পথে-প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি গ্রাম অঞ্চলের কৃষক-মজুর-খেটে খাওয়া গরীব-দু:খী মানুষের কাছে গরীব দু:খী মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সুখ-দু:খ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। দু:খী মানুষের কাছে দাঁড়িয়েছেন।

তারেক রহমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরী করতে তৃণমূল ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন করেছিলেন। এসব সম্মেলনে কর্মীরা দলীয় রাজনীতি ও সংগঠন সম্পর্কে মন খুলে কথা বলেছিলেন। এ সভাগুলোতে তারেক রহমান মূলত দলের গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পন নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘ মতবিনিময় করেছেন।

কিন্তু তারেক রহমান সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার পর তার জনপ্রিয়তা ও জাতীয়তাবাদী শক্তির জাগরণে বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২০০৭ সালের ১/১১ সৃষ্টি হয় এবং তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে অমানষিক নির্যাতন করা হয়।

তিনি আজ ২০ নভেম্বর বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ড্যাব’র সার্বিক সহযোগিতায় ২০ নং দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের বলুয়ার দীঘির উত্তর পাড়ের মাঠে তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের তারুন্যের রাজনীতির আইডল। বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে তিনি রাজনীতির নতুন আলোর দিশা ছাড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যিনি স্বপ্ন দেখান তাঁর জাতিকে, স্বপ্ন দেখান বাংলাদেশকে। যিনি স্বপ্ন দেখেন তাঁর জাতির মুক্তির। তাই তো দৃপ্ত শপথে তাঁর সাহসী উচ্চারণ-“যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমিই বাংলাদেশ”

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নব জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে বিএনপিতে। আজ দেশে জালিমের শাসন বিদ্যমান। অচিরেই জালিমের দু:শাসনের কবল থেকে দেশ ও দেশের মানুষ মুক্তি পাবে এবং তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।

২০ নং দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাব্বির আহমদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মো. শহীদ, ডা. সরওয়ার আলম, সহ সম্পাদক একে এম পেয়ারু, সালাহ উদ্দিন কায়সার লাবু, মো. ইদ্রিস আলী, সালাহ উদ্দিন লাতু, ডা. লুসি খান, ডা. শাকিরুর রশিদ, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, আলী ইউসুফ, নূর আহমদ পিন্টু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, আবদুল্লা আল ছগির।

বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পে ডাক্তারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. দাউদ সিদ্দিকী, ডা. ইফতেখার রিজবী, ডা. মিজানুর রহমান, ডা. রিতু বড়–য়া, ডা. সায়েম, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. ফারহাদ তালেব, ডা. আনোয়ার হোসেন. ডা. ইমরান সোহেল, ডা. ফাজলে রাব্বি, এম এ রাজ্জাক, এফ এ রুমি।

ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামাল আহমদ, আবুল কালাম, লেয়াকত আলী, আবুল মনসুর, এম এ হাসেম, আলাউদ্দিন, আশু, হারুন, জুয়েল, হামিদ, নূর হোসেন নুরু প্রমুখ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *