ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ১৫ বছরের কনে। চলছিল বিয়ের তোড়জোড়। ফোনে খবর দেন কনে নিজেই। খবর পেয়ে এ বিয়ে ভেঙে দিল ইউএনও।
(৩ মার্চ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরের আজিমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কনের নাম রাহেনা আকতার, সে সিতাকুন্ড চিন্নমুল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।
কনে রেহেনার অমতে (৪ মার্চ) শুক্রবার মা-বাবা তার বিয়ের আয়োজন করে। পরে মেয়েটি ফোন দিয়ে বাল্যবিবাহের বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেয়।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহিনুল হাসান জানান, তাঁকে একজন ছাত্রী মুঠোফোনে অবহিত করে যে উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নে মেয়েটির বিয়ের আয়োজন করেছেন মা-বাবা। শুক্রবার দুপুরে তার বিয়ে। মেয়েটির বিয়েতে সম্মতি নেই।
খবর পেয়ে আমি ভূজপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দীন ফারুকীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। একেতো বাল্যবিবাহ অন্যদিকে মেয়েটির এই বিয়েতে সম্মতি নেই।
মেয়েটি আমাদের জানায়, সে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চায় সে। তাই আমরা মেয়েটির লেখাপড়ার দায়িত্ত্ব নিই এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিয়ে দেবে না মর্মে তার মা-বাবার কাছ থেকে মুছলেখা নেয়া হয়।
২৪ ঘন্টা/এম জুনায়েদ/রাজীব
Leave a Reply