তিন ক্যাচের সঙ্গে সিরিজও ফসকালো টাইগারদের

ওয়ানডেতে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় করলেও শেষ ম্যাচে হেরে যায় টাইগাররা। যাতে হোয়াইটওয়াশ থেকে রক্ষা পাওয়া আফগানরা এবার টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাড়িয়ে সিরিজ জয় বঞ্চিত করল রিয়াদদের। সফরকারীদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিতলেও দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানেই হার মানে স্বাগতিকরা। যাতে ১-১ এ ড্র হল সিরিজ।

এখানেই শেষ নয়! এই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ র‍্যাংকিংয়ের অষ্টম স্থানে উঠে আসত। সিরিজ জেতার সুযোগ হাতছাড়া করার পাশাপাশি এদিন হাতছাড়া হয়েছে র‍্যাংকিংয়ে উত্থানের সেই সুযোগটাও।

মিরপুরে শনিবার বিকেলে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৫ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে মুশফিকুর রহিম ২৫ বলে ৩০ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৪ বলে ২১ রান করেন।

আফগানদের পক্ষে দুই পেসার ফজল হক ফারুকী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। একটিমাত্র উইকেট পেলেও বল হাতে মিতব্যয়ী ছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই জীবন পান হজরতউল্লাহ জাজাই। পরের ওভারে অবশ্য রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (৩) সাজঘরে ফেরাতে সমর্থ হন শেখ মাহেদী হাসান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জাজাই ও উসমান গনি গড়েন ৯৯ রানের জুটি। ৪১ ও ৪৫ রানে দুই দফা জীবন পাওয়া উসমান তবুও অর্ধশতক পাননি।

জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতেই ৪৮ বলে ৪৭ রান করে বিদায় নেন গনি, রিয়াদের শিকার হয়ে। তবে এই ব্রেক থ্রু বাংলাদেশকে জেতাতে পারেনি। বাংলাদেশের মিস ফিল্ডিং আর ৩ ক্যাচ ছাড়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আফগানরা নিশ্চিত করে ৮ উইকেটের বড় জয়, ১৪ বল হাতে রেখেই।

প্রথম ওভারে জীবন পাওয়া জাজাই অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৫৯ রান করে, হাঁকান ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা। তবে ম্যাচের সেরা হন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আর সিরিজ ড্র করা আফগানদের পক্ষে যায় সিরিজ সেরাও পুরস্কারটাও।

দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন টাইগারদের জন্য দূর্বোধ্য পেসার ফজল হক ফারুকী। আর এর মধ্যদিয়েই শেষ হল বাংলাদেশের আফগান সিরিজ। সামনে এবার দক্ষিণ আফ্রিকা।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *