গোলাপী বলে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মুশফিক। তার লড়াকু ৫৯ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় দিন পার বাংলাদেশের। ৩৯ রান মাঠ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও ৮৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
২৪১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। কোহলির ১৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ইশান্তের বলে এল্বিডলিউর শিকার হয়ে কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক।
সাদমান-মুমিনুলের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ মোহাম্মদ মিঠুন। উমেশ যাদবের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে শামির হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন (৬)। টপ অর্ডারে বাকি ব্যাটসম্যানদের মতো ব্যর্থ ওপেনার ইমরুল কায়েস। মাত্র পাঁচ রান করে স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।
দুই ব্যাটসম্যানই বেশ দেখেশুনে খেলেন শামি, ইশান্ত, উমেশকে। অহেতুক শট খেলা থেকে বিরত থাকেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। ভারতের পেসারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই ব্যাটসম্যান যখন দলের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দিচ্ছিলেন তখন আরেক বিপর্যয় নেমে আসে বাংলাদেশ দলের উপর। উমেশের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পান মাহমুদউল্লাহ। ৩৯ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ।
রিয়াদ মাঠ ছাড়লে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটির গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। পুরো সিরিজে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ফিফটি হাঁকান মুশফিক। দলীয় ১৩৩ রানে ইশান্তের আউটসাইড অফস্ট্যাম্পের বল ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। তবুও তাইজুলকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। তবে শেষদিকে আফসোস হয়ে থাকে তাইজুলের উইকেট। দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে ইশান্তের বাউন্স মোকাবেলা করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তাইজুল।
শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিন শেষে ৭০ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের হয়ে বল হাতে চার উইকেট লাভ করেন ইশান্ত শর্মা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬ (সাদমান ২৯, লিটন ২৪: ইশান্ত ৫-২২
ভারত (১ম ইনিংস) ৩৪৯-৯ (কোহলি ১৩৬, পূজারা ৫৫: আল-আমিন ৩-৮৫
বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ১৫২-৬ (মুশফিক ৫৯*, মাহমুদউল্লাহ ৩৯*: ইশান্ত ৪-৩৯
Leave a Reply