৫০ বছর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর শহীদরা সমাহিত

মিরপুরের বধ্যভূমিতে পাওয়া মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত শহীদদের দেহাবশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় সমাহিত করা হয়েছে।

সোমবার সেইসব বীর শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী। এই উদ্যোগের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড. এম এ হাসান। তিনি এই দেহাবশেষগুলো নিয়ে গবেষণা করেন এবং তাদের পরিচয় উদঘাটনেরও চেষ্টা করেন।

সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মিরপুর থেকে প্রায় ৫ হাজার কঙ্কাল এবং বেশ কিছু খুলি উদ্ধার করা হয়। তবে এ সকল দেহাবশেষের আলাদাভাবে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় শহীদদের দেহাবশেষের অবশিষ্টাংশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করার পর সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই দায়িত্ব পালন করতে পেরে সেনাবাহিনী গর্বিত। সেনাবাহিনীর উপর এমন মহতী কর্মের দায়িত্বভার অর্পণ করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।

১১ এপ্রিল মিরপুর বধ্যভূমিতে রাষ্ট্রীয় সকল আচার মেনে প্রতীকীভাবে ৫টি কবরে এই বীর যোদ্ধাদের দেহাবশেষ সমাহিত করা হয়।

শুরুতে শহীদদের উদ্দেশে নীরবতা পালন, রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর জন্য গান স্যালুট প্রদান করা হয়। এরপর সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং ড. এম এ হাসান শহীদদের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *