২৪ ঘন্টা ডেস্ক : স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৭ নভেম্বর) বুধবার। শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন এর ২৯তম শাহাদাত্ বার্ষিকীতে তার প্রতি বিনম্র শ্রন্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজের নওফেলের ভেরিফাইড আইডি থেকে শহীদ ডা. মিলন দিবস শিরোনামে বুধবার সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে একটি পোস্ট করেন।
এতে তিনি লিখেছেন ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর এই দিনে তৎকালীন সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের চুড়ান্ত পর্বে সামরিক জান্তার পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শিক্ষক কেন্দ্রের কাছে নিহত হন তৎকালীন বিএম এর নির্বাচিত ষুগ্ন-সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং ঢাকা কলেজের বায়োকেমিষ্ট বিভাগের প্রভাষক ডা. শামসুল আলম খান মিলন। ২৯তম শাহাদাত্ বার্ষিকীতে তার প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রন্ধাঞ্জলি।
এদিকে শহীদ মিলনের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির বাণী : রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ১৯৯০ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে পুরোভাগে থাকা শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন। এ সময় তিনি শহীদ ডা. মিলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী : প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডা. মিলন ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঘাতকদের গুলিতে শহীদ হন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে দিবসটি পালনের জন্য দলের নেতাকর্মীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে শহীদ মিলনের সমাধিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও সেখানে আলোচনা সভা, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএর একটি সভায় যোগ দিতে রিকশাযোগে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার মরদেহ দাফন করা হয়। যেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেখানটা এখন পরিচিত মিলন চত্বর হিসেবে।
এ ঘটনায় চলমান আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটে।
Leave a Reply