শিশুদের মেধামননে বেড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবেঃ অতি.জেলা প্রশাসক

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবু রায়হান দোলন বলেছেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের উজ্জল ভবিষ্যৎ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশে শিশুদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে মেধামননে ও সৃজনশীলতায় বেড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এজন্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আন্তরিক হতে হবে। শিশুদেও নীতি-নৈতিকতা শেখাতে হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উৎসাহিত করতে হবে। আগামীতে আমাদের দেশটি যখন সোনার বাংলা হয়ে গড়ে উঠবে তখন শিশুরা সোনার মানুষ হয়ে দেশকে আলোকিত করবে।

আজ রোববার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম জেলা শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় পর্যায়ে দুই দিন ব্যাপী জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২১-এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে দু’দিন ব্যাপী চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রামের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রথম দিন একাডেমিতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে ৭৯টি ইভেন্টে শুধু মাত্র ১ম স্থান অর্জনকারীরাই জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।

চট্টগ্রাম জেলা শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নূরুল আবছার ভূঁঞার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক এডভোকেট মিলি চৌধুরী ও তানভীরুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ আহছানুল হক (কক্সবাজার), উষানু চৌধুরী (খাগড়াছড়ি), মাহফুজা আক্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মোছলেহ উদ্দিন (নোয়াখালী), সোহেল আহমদ ভূঁঞা (কুমিল্লা), মোঃ কাওসার আহমদ (চাঁদপুর), অর্চনা চাকমা (রাঙ্গামাটি) ও শিলাদিত্য মুৎসুদ্দী (বান্দরবান)। অনুষ্ঠানে বিভাগের বিভিন্ন জেলা শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক, বিচারক, প্রতিযোগী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ১১ জেলা থেকে ক, খ ও গ গ্রæপে ৭৯টি ইভেন্টে আট শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন। উদ্বোধনী দিনের প্রতিযোগিতায় শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা ক্যাটাগরি ভিত্তিক ক, খ, গ বিভাগে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক (সংগীত), নৃত্য, চিত্রাঙ্কন, কুটিরশিল্প/বিজ্ঞানযন্ত্র ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।

১ম শ্রেণী থেকে ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা “ক” বিভাগে, ৫ম শ্রেণী থেকে ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা “খ” বিভাগে ও ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা “গ” বিভাগে এবং দলীয় বিষয়ে অংশগ্রহণ করছে।

বিষয়গুলো হচ্ছে-শিক্ষা বিষয়ক প্রতিযোগিতায় রয়েছে-বঙ্গবন্ধুকে জানো, বাংলাদেশকে জানো-বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান, উপস্থিত অভিনয়, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, ক্বেরাত ও শিশু সাহিত্যঃ ধারাবাহিক গল্প বলা। সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিযোগিতায় (সঙ্গীত) রয়েছে-দেশাত্মাবোধক সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সঙ্গীত, ছড়া গান, ভাব সংগীত, লোকসংগীত, হামদ/না’ত, উচ্চাঙ্গ সংগীত, তবলা ও দোতরা/গিটার।নৃত্য বিষয়ে রয়েছে-মনিপুরী নৃত্য, কথক নৃত্য, ভরত নাট্যম, সৃজনশীল নৃত্য ও লোক নৃত্য। চিত্রাঙ্কন বিষয়ে রয়েছে-আমার দেখা বাংলাদেশ, বাঙালির উৎসব ও উন্নয়নের বাংলাদেশ। কুটির শিল্প/বিজ্ঞানযন্ত্র বিষয়ে রয়েছে-কুটির শিল্প বাঁশ-বেতের ব্যবহারের সামগ্রী তৈরি/মাটির কাজ ও বিজ্ঞান যন্ত্রের উদ্ভাবন বা বিজ্ঞান প্রজেক্ট।

ক্রীড়া বিষয়ে রয়েছে-দাবা, ব্যাডমিন্টন, ১০০ মিটার দৌঁড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লম্ফ ও ১০০ মিটার মুক্ত সাঁতার। এসব বিষয়ে জেলা পর্যায়ে শুধু মাত্র ১ম স্থান অর্জনকারীরা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *