সরকারি প্রশাসনে আইএস’র টুপি বিলি করার লোকও আছে-রানা দাশগুপ্ত

এড. রানা দাশগুপ্ত

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, সরকারের ভেতরে সরকার আছে, প্রশাসনের ভেতরে প্রশাসন আছে। সরকারে যেমন মুক্তিযুদ্ধের সরকার আছে তেমনি আবার সরকারে প্রশাসনে আইএস’র টুপি বিলি করার লোকও আছে।’

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বোয়ালখালী শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামী নির্বাচনের আগেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করবে, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করবে, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করবে, পার্বত্য ভূমি বিরোধে বৈঠক হবে। আপনারা জানেন যে গত পরশু দিন (২৭ নভেম্বর) রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের ১ম সফল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘অর্পিত প্রত্যাপর্ণ আইন ‘ক’ তফশীল ধীর গতিতে চলছিল। আমরা গত ৮মাসে লক্ষ্য করেছি এখানে যে স্থবিরতাটা আগে কাজ করছিলো তা কেটে নিষ্পত্তি হচ্ছে, আপিল ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হচ্ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক যে হারে দেওয়া দরকার, ফিরিয়ে দেওয়া সেটা না দিয়ে তারা হয়রানি করছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছরে গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘু পল্লীগুলোতে যে হারে হামলা হয়েছে এ ঘটনাগুলো আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। সেখানে আমরা লক্ষ্য করেছি ৭১’র পরাজিত শক্তি যেমন হামলাকারীদের মধ্যে আছে, আবার মুজিব কোট গায়ে দিয়ে ছদ্মবেশি অনুপ্রবেশকারীরা ওই হামলাকারীদের ছাতিদার। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।’

‘পরিস্কার করে বলতে চাই ঐক্য পরিষদ কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়, ধর্ম প্রচার প্রসারে এখানে ঐক্য পরিষদের কোনো ভূমিকা নাই। ঐক্য পরিষদ রাজনৈতিক দলও নয়, কিন্ত ঐক্য পরিষদ রাজনীতি বিবর্জিত নয়। তার কারণ আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার, মানবিক অধিকার, হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্যই গণতান্ত্রিক-নিময়তান্ত্রিক ধারায় মানবাধিকারের এই সংগ্রাম থেকে পরিচালনা করছে।’

সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি সজল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে উদ্ধোধন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন এড. প্রদীপ কুমার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন তাপস হোড়, এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, অসীম কুমার দেব, তাপস কান্তি দত্ত, সাগর মিত্র, অধ্যাপক কুণাল বিকাশ চৌধুরী, এড. শেখর দত্ত।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *