দুই ভাই হত্যায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৭ জনকে যাবজ্জীবন ও ১ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই দণ্ডাদেশের রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের ছের আলী শেখের ছেলে নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান, বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী, নাজির প্রামাণিকের ছেলে সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের মৃত নুরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও আরিফ মালিথা নামে এক আসামীকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে রায় দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামীরা যোগসাজশে হামলা করে স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে এবং তার ভাই মিজানুর রহমানকে রক্তাক্ত করে। পরবর্তীতে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন।

কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি (নারী ও শিশু) অ্যাড. আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *