চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে দুই নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সুমন নাছির ও ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফি।
আজ রবিবার সন্ধ্যা সাত টার দিকে এ দুই নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হাটহাজারীর এগারো মাইল এলাকায় কুপিয়ে আহত করা হয় বলে জানা যায়।
জানা যায়, গত কয়েক দিনের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
পক্ষ দুটি হলো ভিক্স গ্রুপ ও সিএফসি গ্রুপ। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দেয়। পরে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তাপস হত্যার মদদদাতা সিরাজ উদ দৌলার প্রত্যক্ষ মদদে ও তাপস হত্যার আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের দুই নেতার উপর বর্বরচিত হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রেফতার করতে হবে। এ এছাড়াও আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক ধর্মধটের ডাক দিচ্ছি।
এ দিকে ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা ধর্মঘটের ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে রাতের ক্যাম্পাসগামী শাটল ক্যাম্পাসে আসেনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ষোলো শহর স্টেশন মাস্টার তন্ময় চৌধুরী।
আগামীকালের ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি এ রকম থাকলে আগামীকালও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৮ ও ২৯ নভেম্বর দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। পুনরায় সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকায় ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও পাথর উদ্ধার করলেও কাওকে আটক করেনি পুলিশ।
Leave a Reply