আনোয়ারায় বন্দর সেন্টারে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা,দুর্ভোগে পথচারীরা

আনোয়ারা প্রতিনিধি: আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল সড়ক, বন্দর মহানখান বাজারের সড়কের উভয় পাশে ফুটপাত দখল করে দোকান করার কারণে প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। যানজটের আটকে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘ যানজট নিরসনের কোন উদ্যোগ নেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর।

সরেজমিনের পরিদর্শন করে দেখা যায়, সিইউএফএল সড়কের এবং বন্দর সেন্টার মোড়ে সড়ক দখল করে উভয় পাশে বসেছে বেশ কিছু ফলের দোকান ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড। সড়কটিতে দেখা যায় গাড়ির দীর্ঘ যানজটের এমন চিত্র।

জানা যায়, সিইউএফএল সড়কের সেন্টার মোড়ে এসে মোহছেন আউলিয়া সড়কে প্রবেশ ধারে রাস্তাটি দুইটি অংশে ভাগ হয়েছে। এর দুইটি অংশ দিয়ে একদিকে সিইউএফএল, কাফকো, ড্যাপ সারকারখানা ও কর্ণফুলী টানেলের বড় বড় ট্রাক ও লরীসহ ভারী যানবাহন চলাচল করে। অপর দিকে মোহছেন আউলিয়া রাস্তা দিয়ে লোকাল বাস, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বড় বড় গাড়ি, রুস্তম হাটের ব্যবসায়ীদের শহর থেকে মাল বোঝাই ট্রাক চলাচল করে। সেন্টার মোড়ে বড় গাড়ীগুলো মোড় ফিরতে রাস্তার উপর বেশ কিছু ফলের দোকান ও অটোরিকশা রাখায় প্রতিনিয়ত যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কোরিয়ান ইপিজেডের কারখানাগুলো ছুটি হলে শ্রমিকদের বহনকারী শত শত গাড়ীর চাপে সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজট।

ভুক্তভোগী যাত্রী আরফাত হোসেন জানান, সড়কের উভয় পাশে ভাসমান দোকান বাসানোর কারণে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। তারমধ্য যানজট নিরসনের জন্য নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো তৎপরতা। আমরা সড়ক দিয়ে চলাচলের নানা দিক সমস্যা সম্মুখীন শিকার হচ্ছি। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ করা আহবান জানাচ্ছি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আরফাত হক জানান, বন্দর সেন্টারে অর্থনীতিক অঞ্চল অন্য দিকের নন্দিত মিনি কক্সবাজারের নামে পরিচিত পারকী সমুদ্রের সৈকতের পর্যটনরা ভ্রমণ করতে আসতেছে। বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে জনসাধারণ মানুষ দীর্ঘ যানজট সম্মুখীন শিকার হচ্ছে। জরুরি সময়ে মুমূর্ষ রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে এই দীর্ঘ যানজটের আটকা পড়ে।

এ ব্যাপারে সিইউএফএলের ভূমি অফিসার আমিনুল ইসলাম (লাভলু) বলেন, সিইউএফএলের জায়গায় ভাসমান দোকানগুলো একাধিক বার উচ্ছেদ করা হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে তারা আবার বসে যায়। ইতিমধ্যে আমরা প্রশাসনের নিকট দরখাস্ত দিয়েছি। প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে অতি শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব। দ্রুত সময়ে সড়কটি চারলাইনে প্রশস্ত করতে সকল অফিসিয়ালি কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।

কর্ণফুলী বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন, সড়কের উপর অটোরিকশাগুলোর ব্যাপারে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে এবং সড়কে গাড়ী না রাখতে বলার পরেও তারা আবারো সড়কে ওঠে যায়। দ্রুত সময়ে অটোরিকশা চালকদেরকে ডেকে সড়কের উপর যাতে কোন ধরণের রিকশা না রাখে সে ব্যবস্থা করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *