আবারও চবি ছাত্রীকে চলন্ত বাসে যৌন হয়রানি

আবারও চলন্ত বাসে ‘যৌন হয়রানির’ শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একছাত্রী। অভিযুক্ত বাসযাত্রীকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন তার সহপাঠীরা। আটক মো. মানিক মিয়া (৩২) হাটহাজারী উপজেলার মন্দাকিনি এলাকার বাসিন্দা।

রোববার সকালে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওই ছাত্রী বাসা থেকে ক্যাম্পাসে আসার সময় এক নম্বর গেইট এলাকায় লোকাল বাসে যৌন হয়রানির শিকার হন।

ওই ছাত্রী মুরাদপুর থেকে তিন নম্বর বাসে (লোকাল বাস) করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিল। বাসে পেছনের আসনে বসা এক যাত্রী তাকে যৌন হয়রানি করলে তিনি প্রতিবাদ করেন।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। তবে চিৎকার দিয়ে রক্ষা পান ওই ছাত্রী। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের আটক করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে নগরীর মুরাদপুর থেকে ৩ নম্বর বাসে উঠেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য। পেছন থেকে দ্বিতীয় সিটে জানালার পাশে বসেছিলাম সঙ্গে আমার বান্ধবীও ছিল। হঠাৎ ওই লোক আমাদেরকে দেখে আমাদের পেছনের আসনে বসে। প্রথম থেকে সে আমার গায়ে হাত লাগানোর চেষ্টা করছিল। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম বাসের কোনও জিনিস গায়ে লাগছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছে একটা যায়গায় আসলে সে আমার শরীরে হাত দেয়। এরপর আমি চিৎকার করে উঠলে আমার বন্ধুরা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।’

বাসটিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, ‘আমি একদম পেছনের সিটে বসে ছিলাম। হঠাৎ একটা মেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠেছে। ওই দিকে তাকাতেই দেখি মেয়েটার গায়ে পেছন থেকে একজন হাত দিয়েছে। তখন তাকে আমরা ধরে পুলিশ বক্সে দিই।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এস. এম. মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোপত্রটি পুলিশের কাছে পাঠিয়েছি। এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

হাটহাজারি থানার ভ্ররপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থী একজনকে ধরে আমাদের কাছে আনে। আমরা তাকে থানাতে রেখেছি। অভিযোগ পত্র পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। ’

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *