শাজাহান খানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী,বর্তমান সংসদ সদস্য ও পরিবহন নেতা শাজাহান খানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন,‘শাজাহান খান নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্য আমার নামে মিথ্যাচার করেছে, সৎ সাহস থাকলে সামনে এসে প্রমাণ নিয়ে বসুন। প্রয়োজনে লাইভ টক শো হবে। দেশবাসী দেখবে।’

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংগঠনটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের জন্য আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে ওইদিনই প্রতিবাদ জানানো হয় এবং শাজাহান খানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তার দেওয়া তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করার জন্য নির্ধারিত সময়ে যুক্তি দেখাতে পারেননি। ব্যর্থতার কারণে তিনি জাতির কাছে ক্ষমাও চাননি। তাকে আবারও ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দিচ্ছি। যদি এই সময়ের মধ্যে সে জাতির সামনে তথ্য তুলে ধরতে না পারে তাহলে আমি আইনের পথে হাঁটবো।

ইলিয়াস কাঞ্চন শাজাহান খানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমি কারো পক্ষে বিপক্ষে নই। আমি মানুষের স্বার্থে কথা বলি। কিন্তু শাজাহান খান বলে থাকেন- আমি নাকি সাধারণ মানুষের কাছে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কথা বলে নেতিবাচক আবহ তৈরি করি। আমি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি কবে কখন কোথায় সরাসরি পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি সেটা প্রমাণ করতে হবে।

শাজাহান খানের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, পরিবহন সেক্টরে বছরে বিভিন্ন খাতের নামে যে টাকা উত্তোলন আদায় (চাঁদা) হয় সেই টাকার কত অংশ শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করেছেন? কয়টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন? দক্ষ শ্রমিক গড়ার জন্য কয়টা হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন ?

নিরাপদ সড়ক চাই কতজন দক্ষ চালক তৈরি করেছে শাজাহান খানের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন চালক তৈরি করার জন্য বিনা পয়সায় দরিদ্র্য এসএসসি পাস বেকার শ্রেণিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে লাইসেন্স কর্মক্ষম করে তুলছি।’

সংগঠন পরিচালনার জন্য যে অর্থ ব্যয় হয় সেই টাকার উৎস কোথায়? সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সংগঠন শুরুর প্রথম ১২ বছর আমার নিজের অর্থে সংগঠন পরিচালনা করেছি। পরে একটা সাংগঠনিক কাঠামো করে এই সংগঠন পরিচালনা করছি। আমাদের রেজিস্টার সদস্য আছে প্রায় ১৫ হাজারের মতো। যারা বাৎসরিক এবং মাসিক ফি দেয়, এছাড়া আমাদের ১২০টি শাখা সংগঠন আছে যারা প্রতি দুই বছর অন্তর রিনিউ ফি প্রদান করে। এছাড়া যখন কোন অনুষ্ঠান করি তখন বাংলাদেশের যারা ব্যবসায়ী আছেন তারা আমাদেরকে স্পন্সর করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *