ব্রেক্সিট ইস্যুর মধ্যে ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ। ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯ আসনের ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে কনসারভেটিভ পেয়েছে ৩৬৪ আসন এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ২০৩ আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৬টি আসনে জয়।
এছাড়া এসএনপি ৪৮ আসন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক ১১ আসন, গ্রিন পার্টি ১ আসন এবং অন্যান্যরা পেয়েছে ২২টি আসন।
দ্বিতীয় বিশ্বজুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে লেৃবার পার্টি। গত বারের চেয়ে এবার তারা ৪২ আসন কম পেয়েছে। তবে লেবার পার্টিতে উল্লেখযোগ্য জয় পেয়েছেন নারী প্রার্থীরা। ২০৩ আসনের জয়ী লেবার পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে ১০৪ জনই নারী।
অপরদিকে ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে জোর প্রচারণা চালানো কনজারভেটিভ আশাতীত সাফল্য পেয়েছে। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকা অবস্থায় গতবারের চেয়ে ৬৬ আসন বেশি পেয়েছে।
নির্বাচনে বিপুল জনমত পেয়ে জয়ের পর বরিস জনসন বলেছেন, তিনি ভোটারদের সম্মান রক্ষায় ও দায়িত্ব পালনে রাত-দিন কাজ করবেন।
বিপুল জনমত পেয়ে বরিস বলেন, নয়া বিপুল জনাদেশ ব্রেক্সিটের পথ আরও সুগম করবে। আগামী মাসে বৃটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার ম্যান্ডেট দেবে এই জয়।
বরিস এই জয়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য ও গণতান্ত্রিক স্বার্থ রক্ষার্থে নতুন সরকার সর্বতোভাবে সচেষ্ট হবে। ব্রিটিশ নাগরিকরা ব্রেক্সিটের পক্ষেই এই জনাদেশ দিয়েছেন। তাঁদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সরকার কাজ করবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন, নির্বাচনে কনসারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তিনি বেশ খুশি। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ব্রিটেনের মানুষ একটি পরিষ্কার প্রশ্ন ছিল। সেটি হচ্ছে, তারা ব্রেক্সিট চায় কিনা। তারা এটাও বুঝতে পেরেছে যে কনসারভেটিভ পার্টি জয়লাভ করলে ব্রেক্সিট হবে। ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি কেটে যাবে। ব্রেক্সিট হবে এবং এগিয়ে যাবে।
কনসারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার অক্সব্রিজ আসনে জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৫১ ভোট এবং লেবার পার্টির প্রার্থী আলী মিলানি পেয়েছেন ১৮ হাজার ভোট।
নির্বাচনে হারের পর আগামী নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতৃত্ব না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেরেমি করবিন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তিনি দলের নেতৃত্ব দেবেন না। তবে তিনি এখন পদত্যাগ করছেন না। আরো কিছু সময় দলের নেতৃত্বে থাকবেন আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য।
তিনি বলেন, লেবার পার্টির জন্য এটি হতাশার রাত। তিনি তার ভোটার, পরিবার এবং বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সহযোগিতার জন্য। করবিন অবশ্য তার আসনে জয়লাভ করেছেন।
Leave a Reply