চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হারলেও বেশ লড়াই করেছিলো সিলেট থান্ডার। এরপর রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে হারের পর আজ ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে পরাজয়। সবে মিলে তিন ম্যাচে টানা তিন হার সুরমা পাড়ের দলটির। মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরেও এখনো দেখা হলো না জয়ের মুখ।
শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকার দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে সিলেট। ইনিংস শুরু করতে এসে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালুকদার। তবে ১০ রানে থাকা ফ্লেচারকে ফিরিয়ে সিলেটের সেই স্বপ্নকে হতাশায় পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। এরপর রনি ১৪, জনসন চার্লস ১৯, শফিকউল্লাহ ২ ও মিঠুন ৮ রান করে বিদায় নিলে ৬১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।
সেখান থেকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুললেও লাভ হয়নি তাতে। নাঈম হাসান ১০ রান করে রান আউট হয়ে গেলে আরো কঠিন হয়ে কাজ। পরে দেলোয়ার হোসেনও ফিরে যান ১৭ রান করে। ফলে ১৫৮ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। ২৪ রানের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা। মাত্র ৩৪ বলে অর্ধশতক করা মোসাদ্দেক শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে।
এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। শুরুতে দেখে খেললেও ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুজন। তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশিদূর টানতে পারেননি তামিম। ফিরেছেন ৩১ রান করে। ৫টা চারের মারে ইনিংসটি সাজাতে তিনি খরচ করেছেন ২৮ বল। তামিমের আউটের পর নিজের অর্ধশতক তুলে নেন এনামুল। পরে আউট হয়েছেন ৪২ বলে ৬২ রানে।
এরপর দলের হাল ধরেন লরি ইভান্স ও জাকের আলী। তৃতীয় উইকেটে ৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। যেখানে ফ্লেচারের অনবদ্য এক ক্যাচে ২০ রান করে আউট হতে হয় জাকেরকে। শেষদিকে ওয়াহাব রিয়াজের ১৭ এবং থিসারা পেরেরার অপরাজিত ২২ রানের কল্যাণে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন।
সংক্ষিপ্ত:
ঢাকা প্লাটুন: ১৮২/৪ (২০ ওভার)
বিজয় ৬২, তামিম ৩১, পেরেরা ২৩*; মোসাদ্দেক ১/১৬ দেলোয়ার ১/২৮, নাঈম হাসান ১/৩৫।
সিলেট থান্ডার: ১৫৮/৭ (২০ ওভার)
মোসাদ্দেক ৬০*, চার্লস ১৯, দেলোয়ার ১৭; হাসান মাহমুদ ২/২৪, মাশরাফি ২/২৯।
ফলাফল: ঢাকা ২৪ রানে জয়ী।
Leave a Reply