জন্মদাতা পিতা খুন হলেন ছেলের হাতে

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছেলের দায়ের কোপে মোহাম্মদ ইব্রাহীম (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তার ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চমেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ইব্রাহীম পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের দরদরিঘোনার জানে আলমের ছেলে। তিনি স্থানীয় কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে হার্ডওয়ারের ব্যবসা করেন।

জানা গেছে, ঘটনার তিনদিন আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্যাঘোনা এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী বেলুয়ারা বেগমের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

মায়ের সঙ্গে ঝগড়া না করতে এর আগে সতর্ক করে ছোট ছেলে ইসমাইল। ছেলের উত্তেজিত ভাব বুঝতে পেরে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী ইব্রাহীম ভয়ে তিন রাত বাড়িতে ঘুমাননি।

চাচার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন। ঘটনার দিন ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে ইব্রাহীম চাচা আবু ছৈয়দের বাড়ি থেকে রাত্রিযাপন শেষে নিজ বাড়িতে আসেন।

এ সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা তার ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র মো. ইসমাইল ধারালো দা নিয়ে ইব্রাহীমকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালের আইসিওতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ইব্রাহীমের ভাই আজমগীর জানান, আমার ভাইকে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। চমেক হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ আইসিওতে রাখা হয়েছিল। ঘটনার ১২ দিন পর আমার ভাই মারা গেল

আজমগীরের অভিযোগ, ভাতিজা ইসমাইলকে দা এনে দিয়েছে তার বড় ভাইয়ের শ্যালিকা সাদিয়া। আর তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ছেলেকে সহযোগিতা করেছে।

পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, এ ঘটনায় পেকুয়া থানায় মামলা হয়েছিল। ভিকটিম মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি।

২৪ ঘণ্টা / জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *