রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ:শাহাদাত

রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশের গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য ৪৯ বছর পরও লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরে পেতে ১১ বছর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয় চূড়ান্ত স্বাধীনতার যুদ্ধ। ২৫ মার্চ জাতি যখন দিক নির্দেশনাহীন ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটে। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। আওয়ামীলীগ সরকার কুটকৌশলে হরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র।

তিনি আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র নেই। যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি আজকে সেই বাংলাদেশকে দেখছি না। সেই দেশ ঘৃণ্য এক দেশ হয়ে গেছে, স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। হারানো গণতন্ত্র ফেরানোর লক্ষ্যে অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে না। ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নেই, আছে দলনীতি। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। স্বাধীনতার চেতনা কি একদলীয় শাসন? গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না। একদলীয় নীতি বেশি দিন চলবে না। সব রাজনৈতিক দল-মত-শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম’র পরিচালনায় বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ হাজী নুরুল আকতার, ফাতেমা বাদশা, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল নবী প্রিন্স, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আরিফ মেহেদী, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, আলী আজম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, তাহের আহমদ, হাজী নুরুল হক, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, জমির আহমেদ, আবদুল্লা আল ছগির, আলাউদ্দিন আলী নূর, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, হাসান ওসমান চৌধরী, সিরাজুল ইসলাম মুনসি প্রমুখ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *