সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছে তরুণরা

ইনটারনেটে কোন অশোভনীয় পোস্ট ভাইরালে সাইবার অপরাধের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার আলোর সঙ্গে তথ্য ও প্রযুক্তির অপব্যাবহারে তরুণ সমাজ এখন মামলার শিকার। এদিকে প্রতিনিয়ত সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। বুঝে না বুঝেও এমনকি মানহানিকার কোন ঘটনা ভাইরাল হলে ওই ধরনের পোস্টে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করলেই মামলার বিপরীতে গ্রেফতার এড়াতে পারছে না কেউই। চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতে এখন এ ধরনের চলমান মামলা রয়েছে পাঁচ শতাধিক।

চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে মামলা রুজু হলেই তদন্ত রিপোর্টের পরই অপরাধীদের ধরতে পুলিশ ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কিন্তু অভিযোগ না পেলে এসব অপরাধীদের ধরা অনেক কঠিন এমন মন্তব্য পুলিশের।

ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের রক্ষায় সাইবার সিকিউরিটি(সাইবার নিরাপত্তা) আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালত।

চট্টগ্রাম আদালত ভবনে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতে এখন পাঁচ শতাধিক মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট দিচ্ছে ঢাকার ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট(সিআইডি)।

শুধু চট্টগ্রাম জেলাই নয়, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালির বিভিন্ন থানায় রুজু হওয়া মামলাগুলো চট্টগ্রাম আদালতের সাইবার ট্রাইবুন্যালে বিচারাধীন।

মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ফেইসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, উইচ্যাট, লাইন, লিংকডিন ও নিমবাজসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের পর্যাপ্ততা যেমন রয়েছে, তেমনি ধ্বংস করার পথেও রয়েছে মুষ্টিমেয় অপপ্রচারকারী ও চক্রান্তকারী।

এমন অনেক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে বর্তমানে যা তথ্য প্রযুক্তি আইনে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত। আইনের আওতায় এসব অপরাধীদের আনতে আবারও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তথ্য প্রযুক্তির এ আন্দোলনে শুধু তরুণ সমাজই নয়, প্রশাসনিক চাপের মুখে পড়ে অনেক প্রবীণও এখন কম্পিউটার শিখতে আগ্রহী। সরকারের পক্ষ থেকে চলছে কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ নানা ধরনের আয়োজন।

সাইবার নিরাপত্তা (সাইবার সিকিউরিটি) বিষয়ে বিভিন্ন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তবে বিভিন্ন আইনগত ব্যবস্থা থাকার পরও অনেকক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। নিরাপদ ও ঝঁুকিহীন সাইবার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক সাইবার নিরাপত্তা নামে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এরমধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইনৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাইবার অপরাধ থেকে দূরে রাখতে কাউন্সিলিং করা। অভিভাবকদেরকেও সচেতন করতে থানা ভিত্তিক সভা সেমিনার করে যাচ্ছে পুলিশসহ অন্যান্যরা।

আকবরশাহ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর সময়ের কাগজকে বলেন, সাইবার ক্রাইম থেকে সরিয়ে আনতে হবে তরুণ সমাজকে।

আধুনিকতার ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের দিক থেকে তরুণ সমাজ অনেক এগিয়ে গেলেও বিভিন্ন চক্রের কারনে মামলা হচ্ছে থানা ও আদালতে।

চক্রের হাত থেকে ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের রক্ষায় সাইবার সিকিউরিটি (সাইবার নিরাপত্তা) আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালত।

২৪ ঘণ্টা / জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *