প্রতিনিয়ত ডোপ টেস্ট হচ্ছে সিএমপি সদস্যদের

রেন্ডম ডোপ টেস্ট হচ্ছে সিএমপি’তে। মাদক সেবনের প্রশাসনিক অপরাধে চাকুরিচ্যুতির পর ৪০ পুলিশ সদস্য বর্তমানে কারাগারে। এদিকে, রাস্তায় যানজট কমাতে গণ পরিবহন প্রফিট শেয়ারিংয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে সিএমপি’র পক্ষ থেকে। নগরীর ট্রাফিক সিস্টেম, বঙ্গবন্ধু টানেলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টানেলের উভয় পার্শ্বে দুটি থানাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ এখন অনিশ্চয়তায়।

পুলিশের অপরাধ সম্পর্কে এক কর্মকতার্ বলেন, মাদকাসক্ত হওয়ায় ৪০ জন পুলিশ সদস্যকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ডোপ টেস্টের মাধ্যমে এদের সনাক্ত করার পর এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

যদিও ৭ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। তবুও রেন্ডম ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে সিএমপি’তে।
এদিকে, স্যোসাল মিডিয়ায় তুলে ধরা বিভিন্ন ঘটনার বিষয়গুলোতে কড়া নজরদারী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের।

অপরাধ হঠাৎ হতেই পারে ও আইনের প্রতি মানুষের অনাস্থা আসতেই পারে সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছে পুলিশ। কভিডের এর সময় জনগণকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ ছিল সচেষ্ট।

কিন্তু নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি কপোর্রেশনের সঙ্গে সমন্বিত বৈঠক হয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের, কিন্তু এখনো কোন পরিবর্তন চোখে দেখা যাচ্ছে না।

আরো জানা গেছে, সিএনজি টেক্সিকে একটি এ্যাপসের আওতায় আনা হয়েছে সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে। শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সিএনজি ট্যাক্সি ও বাস চালাতে বাধ্য করার নানা কর্মসূচী সিএমপি’র। কারণ ক্রমান্বয়ে বাসকেও জরিপের মাধ্যমে এ্যাপসের আওতায় আনবে সিএমপি।

এদিকে, নগরীতে পাবলিক পরিবহন মালিকরা যদি প্রফিট শেয়ারিং পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম কমে যাবে এমন ধারনা পুলিশের। সিট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী প্রফিট শেয়ারিং করার জন্য পুলিশ পরিবহন মালিক সমিতিকে প্রস্তাবনা দিলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি।

এদিকে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারায় নিমার্ণ শেষের অপেক্ষায় থাকা বঙ্গবন্ধু টানেলের উভয় পার্শ্বে দুটি থানা নিমার্ণের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ হেডকোয়াটার্সসহ সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে। ট্রাফিক ব্যবস্থা স্মুথ করতে এধরনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কারণ নিরাপত্তা প্রদান করবে থানা পুলিশ আর চট্টগ্রামে টানেলের পরিচালনা করবে নৌবাহিনী ।

সিএমপিতে আরো চারটি থানা বাড়িয়ে ২০টিতে পরিণত করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে হেডকোয়াটার্সে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর কারনে ট্রাফিক সিস্টেমের উপর চাপ পড়েছে লাখ লাখ গাড়ী চলাচল করছে চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে।

এছাড়াও জঙ্গীবাদ বন্ধে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করতে হবে জনবল বাড়ানোর মধ্য দিয়ে। টানেলকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হলে পুলিশের জনবল বাড়াতে সরকার ক্রমান্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

২৪ ঘণ্টা / জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *