‘চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল’ এ নামটিতে কলেজিয়েট শব্দ লেখা থাকার কারণে নামফলকে স্কুল এন্ড কলেজ লেখা যাচ্ছে না। আবার কলেজিয়েট নাম থাকার কারণে সরাসরি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট কলেজও লেখা যাচ্ছে না বলে এ প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকের পক্ষ থেকে জানা গেছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর প্রতিষ্ঠানের নামে অবশ্য কলেজ শব্দটি লেখা থাকা প্রয়োজন। অন্যথায় পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
এদিকে, ভর্তির সময় মৌখিক পরীক্ষা বা সাক্ষাতকারে এ প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেটটি উপস্থাপন করা হলে এইচএসসি ও এসএসসি উভয়ই প্রশংসাপত্রে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল লেখা থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এমনও দেখা গেছে, সর্বপ্রথম গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন সেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজিয়েট স্কুল থেকে এইচএসসি পাশ করা এক শিক্ষার্থী ভর্তির সময় সাক্ষাতকারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা সার্টিফিকেট দেখতে শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে দুটি প্রশংসাপত্রই একই দেয়া হয়।
প্রশংসাপত্রের ভেতরের বিবরণে এইচএসসি ও এসএসসি আলাদা আলাদা থাকলেও প্রতিষ্ঠানের নামের কারণে প্রশংসানপত্রগুলো দেখতে একই রকম। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে শীর্ষে থাকা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে কলেজ শব্দটি রয়েছে কিন্তু চিটাগাং কলেজিয়েট স্কুল কলেজ হলেও স্কুলই রয়ে গেল।
অভিযোগ রয়েছে, কার্যক্রমে চলছে কলেজ তবুও স্কুলই রয়ে গেল হিসেবের খাতায়। এটি হচ্ছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। গত দশ বছর ধরে এ কলেজ থেকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে বা নামফলকে কোন পরিবর্তন আসেনি।
চট্টগ্রামে মেধা তালিকায় আসা ২০টি কলেজের মধ্যে একটি কলেজের সাইনবোর্ডে কলেজের পরিবর্তে স্কুলই লেখা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এইচএসসি পাশ করা এ কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্রে স্কুলের নাম লেখা থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
কারণ এ কলেজের এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্রের হেড লাইনটি রয়েছে স্কুলের নামে। একইভাবে এইচএসসি, পিএসসি ও জেএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্রেও কলেজিয়েট স্কুল লেখা থাকে।
২৪ ঘণ্টা / জেআর
Leave a Reply