সেনেগালকে হারিয়ে ডাচদের বিশ্বকাপ প্রত্যাবর্তন

সাদিও মানের বিশ্বকাপে না থাকাটা যে সেনেগালের জন্য কতটা অপূরণীয় ক্ষতি সেটা হারে হারে টের পেলো আফ্রিকান দলটি। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে লড়াই করেও ডাচদের বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে হার বরণ করতে হয় তাদের। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে গাকপো এবং খেলা শেষের অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটে গোল করে দলকে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা এনে দেন ক্লাসেন।

ম্যাচের ৪ মিনিটেই পিএসভির মিডফিল্ডার গাকপোর করা ব্যাকহিল থেকে বারউনের শট সেনেগালের ডিফেন্স ব্লক করে দেয়। ম্যাচের ৯ মিনিটে বল পায়ে সেনেগালের সার-এর করা শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

১৭ মিনিটে আবারো লাইমলাইটে গাকপো। তার বাড়ানো বলে ডেলে ব্লাইন্ডের হেড গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়। ১৯ মিনিটে সহজ সুযোগটি মিস করেন ডি ইয়ং। কর্নার থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এই বার্সা মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার বারঘুইসের শট সেনেগালের চেলসির মিডফিল্ডার এডোয়ার্ডো মেন্ডি দুর্দান্তভাবে রুখে দেন। বল পজিশনে সমান অবস্থানে থেকে দুই দলই প্রথমার্ধ শেষ করে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়ায় দুই দল। ৫৩ মিনিটে গাকপোর কর্নার থেকে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের হেড গোলবারের সামান্য ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে গায়ার দূরপাল্লার বুলেট গতির শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক নোপার্ট। দুই দলই যখন গোলশূন্য ড্র করে ম্যাচ শেষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই জলে ওঠেন পিএসভির ফরোয়ার্ড গাকপো। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বার্সা মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের নজরকাড়া ক্রসে হেড দিয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি করেন গাকপো।

ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত সময় পার করছেন তিনি। বিশ্বকাপে আসার আগে ক্লাবের হয়ে ১৩ গোল ও ১৮টি এসিস্ট করেছেন পিএসভির হয়ে। গোল শোধে মরিয়া হয়ে পড়ে সেনেগাল। অলআউট ফুটবল খেলতে গিয়ে আরও এক গোল খেয়ে বসে তারা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষের পর অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটে ডাচদের হয়ে আরেকটি গোল করেন ক্লাসেন। ফলে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করলো লুই ভ্যান হালের নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে হেরে কিছুটা বিপাকেই পড়লো সেনেগাল। কারণ এর পরের ম্যাচে জয় না পেলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের শঙ্কা জাগবে তাদের।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *