কানাডার দাপট সামলে জিতল বেলজিয়াম

চোটের কারণে গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ থেকে আগেই ছিটকে গেছেন রোমেলু লুকাকু। গ্যালারিতে হতাশ বদনে দেখছিলেন খেলা। তার বদলে মিচি বাতসুয়াইকে খেলান কোচ রবের্তো মার্টিনেজ। কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়ে বাতসুয়াই করেছেন গোলও। তাতে মাঠের লড়াইয়ে কানাডার বিপক্ষে ১-০ গোলের ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে বেলজিয়াম।

বুধবার আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার বার্তা দেয় বেলজিয়াম। প্রথম মিনিটেই দূরপাল্লার শট নেন বাতসুয়াই। বল অবশ্য দাঁড়িয়েই ধরেন কানাডার গোলরক্ষক মিলান বোরজান।

অষ্টম মিনিটে তাজন বুকাননের শট ইয়ানিক কারাসকোর হাতে লেগে বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্ত্তয়ার গ্লাভসে জমা পড়ে। কানাডার ফুটবলাররা হ্যান্ডবলের দাবিতে পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি সাড়া দেননি। গোল কিকের পর খেলা চলার কয়েক সেকেন্ড গড়ালে ভিএআরের শরণাপন্ন হন রেফারি। পরে তিনি পেনাল্টির বাঁশিও বাজান এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বলে হাত লাগানোয় কারাসকোকে হলুদ কার্ড দেখান।

স্পট কিক নিতে আসেন কানাডার তারকা ফরোয়ার্ড আলফনসো ডেভিস। ১০ মিনিটের সময় বায়ার্ন মিউনিখে খেলা ফুটবলারের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান কোর্ত্তয়া। ফিরতি বলে ডেভিস শট নিলেও তাতে কাজের কাজ হয়নি।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে অন্তত তিনটি গোলের সুযোগ পেয়েও কানাডা কাজে লাগাতে পারেনি। বারবার আক্রমণে আসা ডিফেন্ডার রিচি লারেয়ার শট প্রথমে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খানিক পর জোনাথন ডেভিডের কিক প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার ব্লক করেন। শেষে ডেভিড বল জালে জড়ানোর চেষ্টার আগ মুহূর্তে তাজন বুকানন অফসাইডে থাকায় রেফারি বাঁশি বাজান।

কানাডার রক্ষণে বারবার ত্রাস ছড়াতে থাকেন কেভিন ডি ব্রুইন ও এডেন হ্যাজার্ড। তাতে অবশ্য ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে আসা দলটি দমে যায়নি। চোখে চোখ রেখে দিয়েছে পাল্টা জবাব। ২৩ মিনিটে ইউরি টেলেসমানসের পাসে বল পেয়ে মিচি বাতসুয়াইয়ের শট বাধাপ্রাপ্ত হলে বেলজিয়াম লিড পায়নি।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা খেলার ২৭ মিনিটে ডেভিসের পাসে বল আদায় করা আতিবা হাচিনসনের শট অল্পের জন্য জালে জড়ায়নি। কানাডার কপালেও জোটেনি গোল। তিন মিনিট পর লারেয়ার পাসে বল পাওয়া অ্যালিস্টেইর জনস্টনের শট ঠেকান কোর্ত্তয়া।

প্রথম আধা ঘণ্টায় কানাডা পোস্ট বরাবর শট নেয় ১০টি, বিপরীতে বেলজিয়াম দুটির বেশি নিতে পারেনি। র‍্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে কানাডা কতটা দাপট দেখিয়েছে, এটি তার বড় প্রমাণ।

ম্যাচের ৪৪ মিনিটে ভাঙে ডেডলক। নিজেদের অর্ধ থেকে টবি আলডেরউইরেল্ডের লম্বা পাসে বক্সের কাছে চলে যাওয়া বল নিয়ে বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন মিচি বাতসুয়াই। লিড পায় বেলজিয়াম।

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে লারেয়ার ক্রসে বল পাওয়া বুকাননের বাঁ-পায়ের শট অল্পের জন্য জালে ঢোকেনি। কানাডার সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার দুদলেরই কমে যায়। ৮০ মিনিটে কাইল লারিনের শট কোর্ত্তয়া দারুণভাবে ঝাঁপিয়ে ধরে দলকে রক্ষা করেন। শেষদিকে দুদলই কিছু আক্রমণ হানলেও পায়নি জালের দেখা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *