পাহাড়ে থাকাদের পুঁজি করেই আবাসের ঋণ দিচ্ছে মাইক্রো ক্রেডিটে। চাঙ্গা অবস্থানে এনজিও। এদিকে, চট্টগ্রামে পাহাড়ে থাকাদের টেনশানে মাথাব্যাথা প্রশাসনের। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ঋণের নামে মাইক্রো ক্রেডিটে গড়ে ওঠা সমিতিগুলো পাহাড়ে ঝঁুকিপূর্ণ আবাসনে থাকাদের পেছনে কাজ করছে। এছাড়াও স্যানিটেশন, স্কুল প্রজেক্ট, বেবি-মাদার হেলথ কেয়ারের নামে নানামুখী প্রজেক্ট। সব প্রজেক্টের পেছনে রয়েছে দ্বিগুন সুদের ঋণ। স্বর্গরাজ্য এই পাহাড়কে ঘিরেই নানামুখী প্রজেক্ট। ইউকে এইড, এল আই ইউ পিসি, ইউএস এইড ব্র্যাক, জাইকা, ডিএফআইডি এর মত দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থা পাহাড়ে কাজ করছে। এ সুযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, দুস্থ সেবা কেন্দ্র (ডিএসকে), ব্র্যাকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ওই এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত অবৈধরা পুনরায় গেঁড়ে বসছে পাহাড়সহ সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব পাহাড়ে দখল বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন সবা সংস্থার পক্ষ থেকেও বসবাস উপযোগী বিদ্যুত, গ্যাস ও ওয়াসার লাইনও প্রতিস্থাপন হচ্ছে। লালখান বাজার এলাকায় বাটালি হিল অবৈধ ্স্থাপনার দখলদালিত্ব বজায় রেখেছেন সাবেক কাউন্সিলর মানিক। চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় পাহাড়ে পাহাড়ে ঝঁুকিপূর্ণ অবস্থায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বসবাস করছে স্থানীয় কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণে। মতিঝর্না এলাকার ওয়াসার টাঙ্কির পাহাড়, রেলওয়ে পাহাড় নিয়ে গড়ে তোলা স্থাপনায় ভাড়া বাণিজ্য ও দখল বাণিজ্য চালাচ্ছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা নেতাকমীর্রা।
আরও অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ও চউকের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সিন্ডিকেট ভূমি অফিসের সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ না করেই নকশা অনুমোদন দিচ্ছে। অথচ, পাহাড় কাটা ছাড়া এসব হাউজিং সোসাইটি গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি চট্টগ্রামে।খতিয়ানে উল্লেখিত এবং বিএস রেকর্ডেও টিলা শ্রেণীকে সমতল দেখিয়ে জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি, নীলাচল হাউজিং সোসাইটি, কৃষ্ণচূড়া হাউজিং সোসাইটি, লোহাগাড়া হাউজিং সোসাইটিসহ বেশ কয়েকটি হাউজিং সোসাইটির অনুমোদন দিয়েছে চউক।
আরো অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়ে ভূমিদস্যুরা প্রথমে আগুন লাগিয়ে গাছ নিধন, গাছের গোড়া উপড়ে ফেলে দেয়া, ও পাম্পের মাধ্যমে পানি ঢেলে মাটি নরম করে বর্ষাকালে পাহাড়ের মাটি ধসে দেয়ার মত ঘটনা ঘটাচ্ছে। নগরীর খুলশী থানাধীন মুরগীফার্ম এলাকার সড়ক দিয়ে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে পাহাড় কেটে গড়ে উঠেছে হাইরাইজ বিল্ডিংসহ ছোট বড় স্থাপনা। সিডিএ’র নকশা এবং সিটি কর্পোরেশনের রোডম্যাপ অনুমোদন করে পাহাড়ী জায়গার পরিবেশহানি করা হলেও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে পরিবেশ অধিদফতর।
২৪ঘণ্টা/জেআর
Leave a Reply