দর্শনীয় স্থানসমূহের সৌন্দর্য দেশ-বিদেশে তুলে ধরতে হবে : পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, প্রকৃতির অপার সৌন্দর‌্যের লীলাভূমি আমাদের দেশে রয়েছে প্রায় সতেরশ পর্যটন স্পট। রয়েছে বৈচিত্রময় ও সমৃদ্ধ পর্যটন পণ্য। আরো রয়েছে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতি, বহুমাত্রিক জীবনাচার ও উষ্ণ আতিথিয়েতা। কিন্তু এসব বিষয় দেশী বিদেশী গণমাধ্যমে কমই তুলে ধরা হয়। মানুষকে কম জানানো হয়। ফলে ক্রমবর্ধমান পর্যটন শিল্প যে হারে বাড়ার কথা, তা কম হচ্ছে। তাই পাহাড় সমতল বনভূমি সাগর মহাসাগর উপত্যকা বেষ্টিত দর্শনীয় স্থানসমূহের বৈচিত্র ও সৌন্দর্য সব মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হোটেল পেনিনসুলায় পর্যটন বিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ১৩ তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিডের কারনে পর্যটন শিল্প কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও বর্তমানে এ খাতের উন্নয়নে কাজ চলছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে ‘ট্যুরিজম রিকভারি প্ল্যান’ ও এ সংশ্লিষ্ট ২০টি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। আগামী ২০৩০ সালে পর্যন্ত পর্যটন শিল্পে কি পরিমাণ কর্মসংস্থান হবে তা নিরুপণের জন্য ন্যাশনাল ট্যুরিজম হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ২০১০ যুগোপযোগি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য প্রযু্ক্তির প্রসার ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারনে ২০১৯ সালের ১ কোটি পর্যটক থেকে ২০২২ সালে বেড়ে তা ২ কোটিরও বেশি হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাহাজে করে হজ যাত্রী প্রেরণ বিশেষ করে দেশীয় পর্যটন খাতকে আরো আকর্ষণীয় করবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান পর্যটন স্থানসমুহের পাশাপাশি এ অঞ্চলের কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সৌন্দর্য গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রবালসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রেখে পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান ইকবাল, এয়ার এস্ট্রার প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ, ইউএস বাংলার ম্যানেজার কামরুল ইসলাম, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের মার্কেটিং প্রধান আ্যানা মে ডিয়াল বক্তৃতা করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী স্টল পরিদর্শন করেন।

তিন দিনব্যাপী এবারের মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে নতুন এয়ারলাইন এয়ার এস্ট্রা। মেলায় বিদেশী ৬টি প্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলায় ভিজিটরদের জন্য আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সবার জন্য উম্মুক্ত এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আগামী ৭ জানুয়ারি এ মেলা শেষ হবে।

২৪ঘণ্টা.জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *