রান উৎসবের ম্যাচে বরিশালকে উড়িয়ে দিল সিলেট

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই মিরপুর শেরেবাংলায় দেখা দিল রান উৎসব। ফরচুন বরিশালের ১৯৪ রান ১ ওভার হাতে রেখেই টপকে গেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৬ উইকেটের দারুণ জয়ে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রাখল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। অন্যদিকে বৃথা গেল সাকিব আল হাসানের বিধ্বংসী ফিফটি। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সিলেটের জয় নিশ্চিত করলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যাওয়া মুশফিকুর রহিম আর লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা।

বড় স্কোর তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রান আউট হন কলিন আকারম্যান (১)। দুর্দান্ত থ্রো করেন খালেদ আহমেদ। এরপরই দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ বলে ১০১ রানের দারুন জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয়। ৩৯ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৪৮ করে সঙ্গীর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান শান্ত। এরপর মিরাজকে বাউন্ডারি মেরে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন তৌহিদ হৃদয়। উইকেটে এসেই দারুণ সব শট খেলতে থাকেন জাকির হাসান। একবার অবশ্য সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচেও যান। ৩৪ বলে ৫৫ রান করে তৌহিদ হৃদয় এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। শিকারি করিম জানাত।

এই আফগান পেসারকে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন মুশফিক। জয়ের সুবাস পেতে থাকে সিলেট। ১৭তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে প্রতিরোধ গড়েন পেসার খালেদ আহমেদ। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে সিলেটের প্রয়োজন পড়ে ২৭ রানের। ডিসিলভার করা প্রথম বলে ছক্কা মারেন জাকির। পরের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে থামে তার ১৮ বলে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস। মুশফিকুর রহিম আর থিসারা পেরেরা বিধ্বংসী ব্যাটে ১ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ফরচুন বরিশাল। চতুরাঙ্গা ডি সিলভা এবং এনামুল হক ৭.২ ওভারে ৬৭ রান তুলে ফেলেন। পাওয়ারপ্লেতে আসে বিনা উইকেটে ৫৪ রান। অবশেষে ২১ বলে ২৯ করা এনামুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরের ওভারে ইমাদ ওয়াসিমের বলে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন ২৫ বলে ৩৬ করা অপর ওপেনার চতুরাঙ্গা। তবু কমেনি বরিশালের রানের গতি। বিধ্বংসী মেজাজে থাকা সাকিবের ব্যাটে ভর করে ১০ ওভারে আসে ৯১ রান। দ্বিতীয় স্পেলে এসেই ইফতেখারকে (১৩) ফেরান মাশরাফি। এরপর জমে ওঠে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ জুটি।

মোহাম্মদ আমিরের বলে ইমাদ ওয়াসিম সহজ ক্যাচ ছাড়ায় ব্যক্তিগত ৩৩ রানে জীবন পান সাকিব। ১৯ বলে ৩০ রানের জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে। ১২ বলে ১৯ রান করে থিসারা পেরেরার শিকার হন মাহমুদউল্লাহ। এরপর ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। অন্য প্রান্তে ম্লান হায়দার আলী ৬ বলে ৩ রান করে বোল্ড হয়ে যান। মাশরাফির করা শেষ ওভারের প্রথম বলে দারুণ এক ক্যাচে সাকিবকে থামান মোহাম্মদ আমির। সাকিব খেলেছেন ৩২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। যাতে ছিল ৭ চার এবং ৪ ছক্কা। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ তোলে বরিশাল। ৪ ওভারে ৪৮ রানে ৩ উইকেট নেন মাশরাফি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *